।দুর্যোধন।


প্রাসাদ থেকে আটটা দিকে , গ্রাম বা নগর দেখছো যেসব,
এসব আমার পিতৃদেবের অধীন, সেটা জানোই কেশব।
বাবার পরে আমিই রাজা, আমার পরে আমার ছেলে
পরম্পরা চললে মেনে তবেই দেশে শান্তি মেলে।


জানি আমি, হিসেবমতন এসব যুক্তি পান্ডবেরও
কিন্তু ওরা সংখ্যালঘু, তার ওপরে পাশায় হেরো।
কৌরবেরা জন্ম থেকেই অধিবাসী এই প্রাসাদের,
পান্ডবরা এসছে পরে, এক অধিকার হয় কি তাদের?


সিংহাসনে আসীন হলে  আমার হাতে আইন বাঁধা,
মর্জিমাফিক বলতে পারি কোথায় যাবে রাজপেয়াদা।
কৃষ্ণ তুমি ছিন্নমূলী, বৃন্দাবন আর  দ্বারকাতে,
স্বভাবতই সখ্যতাটা বেশি হবে ওদের সাথে।


বলতে পারো চাইছে ওরা সাকুল্যে তো পাঁচটা গ্রামই,
সেটুক দিলেই শান্তি হতো, রণং দেহি কেন আমি।
আগামীকে জানো তুমি, ত্রিকাল তোমার হাতের মুঠোয়,
হয়তো দেখবে কলিকালেও লড়াই হবে একই ছুতোয়।


এই ভূমিতে কাদের শেকড়, আর কারা এই দেশের নয়,
সিংহাসনে চড়েন যিনি, সে তথ্য তাঁর ইচ্ছাময়।
হোক না জ্ঞাতি, থাকুক কেন পক্ষতে তার সব নথি,
রাজা গেলে বিপক্ষতে, অজ্ঞাতবাস তার গতি।


মানতে আমি চাইনা ওরাও আমার মতো দেশের লোক,
হয়তো এদেশ ধ্বস্ত হবে, তবুও কুরুক্ষেত্র হোক।


আর্যতীর্থ