।এবার খোলা।


রোজনামচার কোণখামচায় আতিপাতি খুঁজছি ঢেউ,
ঠিক না বেঠিক মুখোশ পরা, আদৌ কি আর বুঝছি কেউ।
সেই যারা সব ভূত ভাগাতেন মুখোশ ছাড়া দেখলে মুখ,
মুখ না মুখোশ করলে জিগেস, কুলুপ মুখে তারাও মূক।


ডেঙ্গি আবার লেঙ্গি মারে ফ্যালসিপেরাম ছুটায় ঘাম,
টাইফয়েডও নেই ভয়েডে, ভোলাচ্ছে জ্বর বাপের নাম।
এদের মাঝে তুচ্ছ কোভিড পুচ্ছ নাচায় আর কোথা,
দরকারি তাই সরকারি সিল বন্ধে মুখোশ-দাসপ্রথা।


তিনটে বছর প্রায় পেরোলো, চিনছি না কেউ কাউকে আর,
অর্ধ মুখের গল্পগুলোয় বাকির ফাঁকি কল্পনার।
খুললে মুখোশ ভীষণ অবাক, মোটেই অমন নয় তো সে,
নতুন কোনো মুখ চিনিনি কোভিডকালের ভয়-দোষে।


তবুও মুখে লাগাই মুখোশ, আতংকে নয় ,অভ্যাসে
কোথাও দেখে দেয় বাহবা, কোথাও আবার সব হাসে।
দুপক্ষেরই যুক্তি আছে, অকাট্য নয় কেউ তারা,
ঠিক না কি ভুল কঠিন বোঝা, নতুন কোনো ঢেউ ছাড়া।


সে ঢেউখানার আবার হানার সম্ভাবনা শূন্য নয়,
সেটা জানা, কিন্তু তাতেও চিন্তা কিছু নেই বোধহয়।
কমবেশি সব দেশের মানুষ ভ্যাক্সিনে আজ রক্ষিত
রক্ষী হয়ে সামলাবে যে তেমন ঢেউয়ের ঝক্কি তো।
পক্ষে এবং বিপক্ষে থাক যুক্তি লেখা য’দিস্তা,
হতেই পারে মুখোশ ছাড়া এখন দোকান অফিসটা।


মালিক যারা, দেন না তবু মুখোশ খোলার নোটিশটা।


আর্যতীর্থ