। একত্রিশটা ঘোড়া।


একত্রিশটা অশ্বমেধের ঘোড়া সমকালের বুকে দৌড়ের চিহ্ন চিরন্তন করে গেলো।


এই ধমক শোনার আগে নতজানু হওয়ার যুগে,
যেখানে খুলি ফুটো করা মাস্তানি আজও দোর্দন্ডপ্রতাপে রাজত্ব করে,
সেখানে সিংহাসনকে যারা প্রজাদের মধ্যিখানে নামাতে পারে ,
অচলায়তন ভাঙার কান্ডারী তাদের থেকে ভালো আর কে হতে পারে?


হে অতীত, নিশ্চিন্তে ঘুমাও।
হে বর্তমান, তাবত হতাশা ঝেড়ে ধুলো পড়া স্বপ্নগুলোকে বের করে ফের রাখো জানলার পাশে,
অবশেষে ভোর হবে, কায়েমী আঁধার গোহারান হেরে যাবে তারুণ্যের উজ্জলতার কাছে,
আগামী দিয়েছে আজ সেই প্রত্যয়।


শেষ কবে অ-বশংবদ প্রজা সংযত বাক্যালাপে নাড়িয়েছে প্রবল সিংহাসন,
ইতিহাস প্রাণপণে সন্ধান করে চলে দেশ ও কালের নানা ডাইরি পাতাতে।
এখনো পায়নি খুঁজে।
শেষ কবে বিদ্রোহ হয়েছে এত স্তিমিত গলায়, প্রতি কথা শানিত ফলার মতো তথ্যকে বিঁধে,
দেরাজ হাঁটকে সেটা খুঁজেই চলেছে দেখো বিস্মিত যুগ।


‘আমার ধর্ম নেই, সেবা আর স্বাস্থ্যের পথে হাঁটা ছাড়া’,
এ উক্তি খোদাই হোক সমস্ত চিকিৎসালয়ে,
দেখে যাক ধর্মবাজেরা নিরুপায় সুস্থতাসন্ধানে এসে,
এই রঙভাগ করা দেশে কিছু উপাসনালয় আজও ধর্মবিহীন।


একত্রিশটা অশ্বমেধের ঘোড়া সমকালকে শিখিয়ে গেলো,
মেরুদন্ড ঋজু রাখা আজও কাজে লাগে।


ওহে বিবর্ণ মধ্যবয়স্ক, পিঠে হাত দিয়ে দেখো, এরপর যদি কিছু শিরদাঁড়া জাগে।


আর্যতীর্থ