। ফেরত চাই।


আমাকে ফেরাও যুগে যেইখানে ছিঁড়ে গেলে রিফু করা যেতো,
ফেলা হতো না।
পুরোনো কে ছুঁড়ে ফেলে নতুন নেওয়ার নানা সুলভ যোজনা ফেলে রেখে আমি যেতে চাই সেই বইয়ের বাঁধাইদোকানে, ছেঁড়াখোঁড়া মলিন পাতারা টানটান হয়ে ফের নতুনের মতো সেজে উঠতো যেখানে
এবং প্রজন্মান্তরে বই আর পোশাকের হতো ব্যবহার,
ছেঁড়াফাটা জোড়া দিয়ে জীবন আগের মতো চলতো আবার।


আবার ফিরতে চাই জোড়াতালি অভ্যেসে,
যেখানে সম্পর্করা মাঝে মাঝে বেড়ি হয়ে হাতে পায়ে কেটে যেতো বসে,
তবু আনফ্রেন্ড শব্দটা অভিধানে কোত্থাও  গড়েনি বসতি, ঝগড়াটে আড়ি আর গদগদ ভাবে ডুবে দিনগুলো ছিলো ভারী অঝাঁকুনি গতি।
কড়ে  বুড়ো আঙুলের মাঝে ছিলো সাকুল্যে তিন আঙুল ফাঁক,
যাপনের তরতাজা মাছগুলো ঢাকতো না সাতবাসি হ্যাশট্যাগ শাক।


গ্রুপ ছেড়ে বেরোনোর প্রবণতা ছিলো তখনও তো ,
শুধু বাড়ি গিয়ে হাত ধরে টেনে আনা যেতো,
তার সাথে প্রাণ খুলে অভিধান রাঙা হয়ে যাওয়া গালাগালি, একরাশ ফেসবুক বন্ধুর ভিড়ে, হাঁকুপাঁকু মন সেই স্মৃতির কাঙালী।
আমি ফিরে পেতে চাই ওই চিরকুট চিঠিদের দিন,
যেখানে জবাবী কথা লেখা হতো অবসরে, ‘ টাইপিং’ কথাখানা ছিলো না রুটিন।
ফ্রেন্ডলিস্ট যেইখানে ছিলো না হাজার , গুটি কয় সবজানা বন্ধুকে নিয়ে বন্ধুর পথ হাঁটা নিয়ে যেতো আগে,
আমাকে ফেরাও সেই মাটিময় যুগে, যেখানে মানুষ ছিলো মানুষের ভাগে।


‘শ্রীচরণেষু’ আর ‘ইতি’দের জীবনে ফেরাতে আজ বড় সাধ জাগে....


আর্যতীর্থ