।  ঘামের খিদে।


যা চেয়েছেন পেলেন রাজা, ঠিক কিনা ভুল,
চুলচেরা তার বিচার সময় করবে পরে।
আপাতত মানাই ভালো, বাইরে এবং ভেতরঘরের
তাবত সেলাম রাজার ঘরে,
এই দুনিয়ায় সাফল্যকে কোন বোকা আর প্রশ্ন করে?


এইবারে ফের মন দেওয়া যাক, ঘাম ও মাটির যেসব কথা
হাততালিতে যায়না শোনা, তাদের কাছে।
সাড়ে তিনলাখ শ্রমিক ছাঁটাই  অটো’র থেকে তিনটি মাসে
এখন তারা কেমন আছে,
ও দেশ , তুমি জানাও আমায় কর্মবিহীন কোন উপায়ে ঘর্ম বাঁচে।


দিকবিদিকে গাছ মরেছে, সভ্য মানুষ খুন করেছে ,
কংক্রীটেরা হামলে পড়ে সবুজ খুঁজে।
অগ্রগতির দামালপনা অরণ্যদের উপড়ে শিকড়
মাল্টিস্টোরিড দিচ্ছে গুঁজে,
মাটি যদি বিদ্রোহী হয়, বলতে পারো সামলাবে তা কি কার্তুজে?


শিক্ষিত সব বেকার বসে, তিনশোখানা কাজ-খালিতে
লাখতিনেকের দরখাস্ত খবর রুটিন।
মনের রোগের কব্জা বাড়ে, হতাশ যুবক যুবতীরা মৃত্যু ডেকে
মুক্তি  খোঁজে প্রায় প্রতিদিন,
কোন ধারাটির বিলোপ হলে, পেটের ছুঁচো নাচ থামাবে তাক-ধিনা-ধিন?


যা চেয়েছেন পেলেন রাজা, মাথার ওপর রাখছি তাঁকে আদর করে।
কিন্তু প্রজার যা চাহিদা, ঘামের দামের মূল্য পেয়ে ভরাপেটে
নিদ্রা দেওয়া নিজের ঘরে,
সে সব আশার বাঁধতে বাসা, খুঁজবো জমি কোন আগামীর বালুচরে?


রাজার মনে এখন যেন ঘামের খিদে বিলোপ করার চিন্তা ঘোরে...


আর্যতীর্থ