।হ-বৃত্তান্ত।


ধুমধাম করে বাজিয়ে কাড়া নাকাড়া , প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায়,
হ’ ভাষা লাগু হলো বাধ্যবাধক, বিশাল দেশের প্রতি কোণায়।
শিখতে হবে, লিখতে হবে, বলতে হবে মুখের থেকে খইয়ের মতো
অবশেষে হ’ভাষাকে গোটা দেশের ভাষা বলে মেনে নিলো রাজ্য যত।


চাকরি বলো , কলেজ বলো, হ’ভাষাতে স’লেজ হলে তবেই পাবে,
এমনতর নিয়ম লাগু দিগ্বিদিকে। পড়শিভাষা যাদের তারা কোথায় যাবে,
তারাও এবার শিখে নিলো বেগতিকে। কোহিমা থেকে দমন দিউ,
কোদাইকানাল থেকে আগরতলা, সর্বত্র লাগু হলো কৌন, কাঁহা, কিউ..


দশক গেলো। মাতৃভাষা বাকিরা সব নিপাত্তাতে জীবন্মৃত,দীপ নিভে যায়।
শহর গঞ্জ পরগনাতে দোকানবাজার বাসে ট্রামে বলছে সবাই হ’য়ের ভাষায়,
রাষ্ট্র খুশী। নিত্যদিনের না পাওয়ারা যদিও একই, পেট ভরে ভাত খুব দুরূহ,
কিন্তু সবার জিভের ডগায় হ এসেছে, অন্যভাষার চারধারে সেই চক্রব্যুহ।


দেশকে কেমন হ নিয়েছে, দেশও হ’কে কেমন নিলো, দেখবে বলে,
এক কমিটি গঠন হলো। নামী দামী হ’বোদ্ধারা নাম লেখালেন দলে দলে।
দেখতে গিয়ে চোখ কপালে, হসমিয়া হলায়লম দুপ্রান্ততে এক্কেবারে ভিন্ন ভাষা,
হাংলা তে কথা বলে, হোড়িয়া বা হামিল সেটা বোঝার করে ব্যর্থ আশা।


খুঁজতে থাকেন সেই কমিটি , আসল হ’কে যাবে পাওয়া কোথায় কোথায় দেশের জিভে,
কোত্থাও নেই, বাকি ভাষায় মিশে গিয়ে, আসল হ’য়ের সলতেখানি অলক্ষিতে গেছে নিভে...


আর্যতীর্থ