।হ য ব র ল।


চ ছিলো এক চাষীর ব্যাটা
নিদাগ ক্রেডিট হিস্ট্রিতে
চ নিলো ধার ব’এর থেকে
শোধ দেবে সে কিস্তিতে।


চ’এর স্বপ্ন ফলবে ফসল
সোনা হবে ক্ষেতটা তার
সার কিনেছে জল দিয়েছে
সওয়ালই নেই অজন্মার।


ফসল হলো দারুণ সেবার
চ দেখে হয় খুব খুশি
হয়তো এবার মরতে পারে
পেটের খিদে রাক্ষুসী


হ ছিলো এক ধূর্ত ফড়ে
ধনী এবং ধান্দাবাজ
ফসল এলে চ’এর ঘরে
কিনতে সেটা হন দরাজ।


হ বললো চ’ কে ডেকে
বেচ আমাকে তোর সোনা
চ’ বলে মুই শহর যাবো
তোমায় আমি বেচবোনা।


হ বলে ধ্যাত, কল্পনা ছাড়
ভঙ্গ দে তোর মৌতাতেই
গাড়ি গুদাম সবই আমার
তোর কাছে তো কিছুই নেই।


য ছিলো এক সরকারী লোক
কৃষকবন্ধু বিভাগ তার,
তার কাছে চ আর্জি জানায়
‘ উপায় করো হে বেচবার।’


য বলে দেয় উল্টিয়ে হাত,
ওসব আমার কাজ নাকি
তোমার ফসল তোমার জমি
তুমিই দেখো বাদবাকি।


শহর যেটা বিশ টাকা দেয়
হ কিনে নেয় একটাকায়
পয়সা ফেরত দে না আমার
ব হুংকারে চোখ পাকায়।


ব’য়ের টাকার আমদানি হয়
আমজনতার জমাতে,
স্বভাবতই পারে না সে,
কিস্তি বা সুদ কমাতে।


ফসল ভালোই ফললো ক্ষেতে
তবুও ছেদ কিস্তিতে,
বাধ্য হয়েই চ কে হলো
নিজের গলায় বিষ নিতে।


চ’ এর ব্যাটা র’কে তখন
ফোকাস করে চ্যানেলরা
ক্যামেরাতে ডুকরে কাঁদেন
জ্ঞানীগুণী প্যানেলরা।


ল ছিলো এক মস্ত নেতা
নির্বাচনে পাখির চোখ
র’ কে গিয়ে বললো ডেকে
তোর ভোটটা আমার হোক।


জবান দিলাম, করবো মকুব
বাপের ছিলো যেসব ঋণ
মন্ত্রী হলেই দেখতে পাবি
আকাশ জুড়ে আচ্ছে দিন।


মিনমিনিয়ে ব বলে যায়
টাকাটা তো করদাতার,
ল’ য়ের তাতে বয়েই গেছে
বন্ধ চক্ষু কর্ণ তার।


র দেখে তার ঘরের হালত
ঋণমকুবেও এক থাকে,
ব’ য়ের কাছে কমছে টাকা,
সামলাতে ল’র বায়নাকে।


মাঝের থেকে হ খুব খুশি
র তো টাকা পায়না আর
ক্ষেতের ফসল ফলুক না যা
হ’র কাছে ঋণ যায় না তার।


য’ও আছে ফূর্তিতে খুব
আসে যায় আর মাইনে পায়
ফলিডলের খবর পেলে
বিষাদভরা চোখ নাচায়।


ল’এর নিত্য বিদেশসফর,
তাক লেগে যায় ঠাঁটবাটে
র’য়ের ছানার জিরজিরে হাড়
খালি পেটে ঠোঁট চাটে।


হে ইতিহাস, আগামীকে
এসব কথা বোলো,
কেমন করে র’কে খেলো
হ য ব আর ল।


আর্যতীর্থ