। হরিণ শিকার।


বাঘরা আসে বুক ফুলিয়ে, অবাধ হুহুংকারে,
ইচ্ছেমতন শিকার করে হরিণ খেতে পারে।
লুকাবে কই হরিণগুলো, ঠিকানা তো জানা,
দিলেই হলো শিবির বুঝে সুযোগমাফিক হানা।


সীমার এপার বাঘবাহাদুর ওপার গেলেই মৃগ,
মানুষ  ছাড়া এ ভোজবাজি কেউ পারে আর কি গো।
অরণ্যে বাঘ দেখা বিরল, হরিণ দেখে ফেরা,
রাষ্ট্রে গুটিকয়েক হরিণ বাঘের পালে ঘেরা।


হরিণ আছে হরেক রকম সব দেশে ভরপুর,
সিরিয়াতে যে ইয়াজিদি, চীনে  সে উইঘুর।
কে জানে আর ক’দিন লাগে এই দেশে নাম দিতে,
ওই তো হরিণ, ফেল করেছে যারা এন আর সি’তে।


রাজায় রাজায় ভাব হয়েছে , খাগড়া আছে সুখে,
হরিণরা খুব কাঁপছে ভয়ে তাক করা বন্দুকে।
মুকুট এবং মুকুট বসে করেন আলোচনা,
‘তোমার হরিণ তুমিই কাটো, কিচ্ছুটি বলবো না।’


ইয়াজিদি ,রোহিঙ্গিয়া ,উইঘুর কন্যাকে,
কোন বাঘে যে কখন খেলো কে আর হিসেব রাখে।
হিংস্র সে বাঘ সাকিন শুঁকে কখন থাবা বাড়ায়
স্বপ্নে দেখে কিশোরীরা কাঁপছে গোয়ালপাড়ায়..


আর্যতীর্থ