।হয়তো।


খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে সে গভীরতা মেপেছে অনেক দিন।
সিলিংয়ের ফাঁস আর মেট্রোর থার্ড রেলের কোনটায় যন্ত্রণা কম থাকে,
সে ব্যাপারে গুগল কিছু কি বলেছিলো তাকে?
নির্ঘুম মাঝরাতে এক দুই তিন করে ভেড়া গোনবার মতো কতবার গুনেছে সে ঘুমের ওষুধ, ইয়ত্তা নেই।
এ কথা গিয়েছে জানা বিমর্ষ ব্লগের পাতাতে, যে প্রকাশ্যে ছিলো তবু ছিলো না গোচরে কারো চোখেতেই।


ঘরে কি বোঝেনি কিছু?
প্রিয়জন ভাবেনি কি  ‘ একলা থাকতে দাও’  বলে তোলা নিরালা’র পাঁচিল ভেঙে দিলে
শোনা যেতো ‘ আমাকে বাঁচাও, একলা ছেড়ো না?’
জীবনের পাড় ভেঙে নিজেকে মুছতে চায় অভিমানী ঢেউ,
সেই ধস  বুঝবার , বোঝাবার ছিলো না কি কেউ?


একদিন, অশ্লেষা বা মঘা ছোঁয়া অশুভ প্রভাবী কোনো কালরাত্তিরে,
খাদের কিনার থেকে ফিরলো না সে।
আলগোছে জীবন আর প্রিয় সব ছেড়েছুঁড়ে দিয়ে, অনায়াসে বদলালো ইচ্ছুক লাশে।


হয়তো পেছন থেকে সময়ে ডাকলে তাকে , ফিরতো কিনারা থেকে জীবনের পাশে।


হয়তো...


আর্যতীর্থ