। ইজ্জত।


দলিত নারীর ধর্ষণে, কে আর বিরোধ স্বর শোনে,
বরঞ্চ মেয়ে , প্রসাদ ভেবে রাজার হাতের স্পর্শ নে।
বললে রাজা বুঝিস না, মুকুটটুকুট খুঁজিস না,
নির্বাচনে জেতেন যারা, তাঁদের যেন কু দিস না।
ওই দ্যাখ তুই শুনলি না, বিপদগুলো গুনলি না,
পল্লুতে তোর মুখ ছুপিয়ে চুপ রহনা চুনলি না।
প্রথম ধাক্কা থানাই দিক, পোঁ ধরেছে সানাই ঠিক,
নালিশ গেলে এসব নিয়ে কাজটা ওদের হাসা-ই ফিক।
তুই যে তাতেও দমিস না, বাকির মতো থামিস না,
রাজপেয়াদার ভয়ে দেখে দরদরিয়ে ঘামিস না।
কাজেই বলে গুন্ডাদের, বাপকে ধরে ডান্ডা দে,
খসতে কথা কাজ হয়ে যায় এমনি গরম খুন তাদের।
পুলিশ আবার কেস সাজায়, বাপ ঢুকে যায় জেলখানায়,
বেখাপ্পা সব বেয়াড়াকে লক-আপ নি-বাক লাশ বানায়।
তবুও কি সাহস তোর, আদালতে মামলা জোর,
ধর্ষক যায় জেলের ভেতর কদিন খেলে গোলামচোর।
তার মানে তুই বাঁচলি কি, আরও অনেক খেল বাকি,
ওদের প্রতাপ আটকে দেবে অত কঠিন জেল নাকি।
সাক্ষী মারে আরামসে,  মরলো বিনা ব্যারাম সে
অটোপসি তার হয়নি কিছুই দিব্যি চাপা তামাম সে।
তারপরও তুই দমলি কই, পক্ষে জোটাস লক্ষ সই,
পণ করেছিস যাই হয়ে যাক চাইতে বিচার পিছপা নই।
হঠাৎ আসে  ট্রাক ধেয়ে ,পিষলো গাড়ি ফাঁক পেয়ে
মরলো মাসী দুইজনে তোর, তবুও তুই বাঁচলি মেয়ে!
অনেক জন্ম পুণ্য রে, ভাগ্যে ওদের ঘুণ ধরে,
বাগে পেলেই ওদের লোকে দেবেই তোকে খুন করে।


চড়িয়ে নারীর লাজ দাওয়ে কোনদিকে এই দেশ নাও হে,
উন্নয়নের ইজ্জত আজ লুঠ হয়েছে উন্নাও-য়ে।


আর্যতীর্থ