।কাফিল।


মগজ-জ্বরে মরছে শিশু , একশো ছুঁলো সংখ্যা যার,
হদ্দ গরীব ডুকরে কাঁদে, মৃত্যু বাজায় ডংকা তার।
ভীষণ অসুখ যখন তখন হিঁচড়ে ছেঁড়ে নাড়ির টান
ভাবছে সবাই , খুঁজছে সবাই, গেলেন কোথায় কাফিল খান?


কাফিল খানের নাম মনে নেই? স্মৃতি পেছোও বছর দুই,
এনকেফালাইটিসের শিকার সেই বছরও একশো- ছুঁই
গোরখপুরের হাসপাতালে যখন খতম  অক্সিজেন
বাইরে থেকে সিলিন্ডারের সরবরাহ তিনিই দেন।


তারপরে কি হুলুস্থুলু, সেই কথা কি বলবো আর,
নায়ক বলে তাঁকে লোকে, ভিলেন বলে যে সরকার।
রাজার রোষে দায় নিয়ে সব ক্রমেই হলো কাহিল জান
জেলখানাতে পচতে ঢোকেন দাগীর মতো কাফিল খান।


আসল কথা করলো আড়াল অভিযোগের ধুলোর ঝড়
অক্সিজেনের অভাবে নয়, মৃত্যু দিলো মগজ-জ্বর।
অক্সিজেন তো করতো কেবল মৃত্যুপথের বেদন হ্রাস
কিছুক্ষণের জন্য কাড়া যমের দূতের মুখের গ্রাস।


কাজেই কিছুই হলো না আর , চাপলো সবই লাল ফিতে
কাফিল খান আর কয় ডাক্তার খুব খেয়ে যান গাল ফ্রী-তে।
লুকিয়ে ফেলার ধরণ দেখে, মৃত্যু বসে ঠোঁট চাটে,
আবার কবে খাবলে শিশু ,বলবে ব্যাটা ওঠ খাটে।


সে দুঃসময় এলো এবার, ছোবল মারে মগজ-জ্বর,
শিশুর শব আজ লাইন দিয়ে, বিপদ বেড়ে ভয়ঙ্কর।
সরকার ফের এদিক ওদিক দোষ চাপাবার কাতিল চান,
আমজনতা নায়ক খোঁজে বাঁচাবে যে বাতিল প্রাণ।

মিলবে না আর দুজনেরই ভাগ্যে এখন কাফিল খান।


আর্যতীর্থ