এ কবিতাটার কৃতিত্ব আমার এক শতাংশও নয়। হোয়াটসঅ্যাপে শত্রুঘ্ন অর্পিত-এর একটা অসাধারণ লেখার কাব্যকরণ। কয়েকটা ঝামেলা গুগল করে পাইনি তাই বাদ দিয়েছি। একটা যোগ করেছি। ব্যাস। অভিনন্দন শত্রুঘ্ন!


             ।খণ্ড।


কাশ্মীর নিয়ে বলতে এগোয় পাকিস্তান,
বালুচি’রা ধমকে বলে চোপ ব্যাটা,
তাই শুনে চীন দেখতে গেলো কি গোলমাল
তিব্বতী কয় ঠ্যাং বাড়িয়ে ‘পাশ কাটা’।
‘চায়না তোকে চায়না যে কেউ’, স্বর রাশিয়ার,
ক্রিমিয়া বলে ‘তোকেও আমরা চাইছি কি,’
মুচকি হাসে যেই তা শুনে ফরাসীরা,
বাস্করা হাঁকে, ‘এদিক পানে দ্যাখ দিকি।’
‘গোল কোরো না, নিদ্রা দেবো’ ,বললো স্পেন
কাটালোনিয়া অমনি খোঁচায় পাশ থেকে,
বলতে কিছু ইংল্যান্ড মুখ খুলছিলো
চুপ করে যায় আইরিশ আর স্কট দেখে।
‘থামনা সবাই’, চেঁচিয়ে ওঠে জার্মানি,
ব্যাভেরিয়া বললো ‘থামায় কে তোমায়?’
হঠাৎ করে উত্তেজনার পারদ চড়ে
ঝগড়া লাগে কসোভো আর সার্বিয়ায়।
তুরস্ক এসব এড়িয়ে যাবে ভাবছিলো,
কুর্দিস্তান মারলো ঢেলা তার ঘরে,
সৌদি আরব বলে ‘এসব আমার নেই,’
ইমেন বলে ‘ফিরবে স্মৃতি দুই চড়ে।’
ভীষণ দুঃখে ছাড়লো শ্বাস ইজরায়েল
প্যালেস্টাইন বিষফোঁড়া তার সর্বদা,
ইতালি তার ঘরটা নিটোল ভাবছিলো
সার্ডিনিয়া খর্ব করে গর্বটা।
মরক্কো কয় ‘আমায় বাপু কেউ চেনে না,’
ওয়েস্ট সাহারা বলে ‘চিনি হাড়ে হাড়ে,’
যেই বলে গ্রীস শান্তি আসুক সবার ঘরে,
সাইপ্রাস এক রদ্দা কষায় ব্যাটার ঘাড়ে।
ইরান বলে ‘এ খুজলি তো অনেকদিনের
খুজেস্তানে ভুগছি আমি এক শতক,’
আজারবাইজান বলে ‘জানি হে ভাইজান,’
আর্মেনিয়ার সেটা শুনেই রক্তচোখ।
অস্ট্রেলিয়া হাসছিলো খুব এককোণে,
কেউ শোনেনি তাসমানিয়ার আর্তনাদ,
ভাবনা বাড়ে নীরব থাকা কানাডারও
কুইবেকে কেউ চাইছে পেতে স্বাধীনস্বাদ।
স্বপ্ন দেখে চেঁচিয়ে ওঠে  মায়ানমার,
রোহিঙ্গিয়া ডাকছে তাকে ‘ওঠ শালা’
শ্রীলংকা রোজ সিঁটিয়ে থাকে আতঙ্কে
জাফনা যদি বলে ‘এবার তোর পালা?’
‘তফাত যাও, শান্তি রাখার দায় আমার!’
হুঙ্কার দেয় আমেরিকা লালচোখে,
হাওয়াই দ্বীপ আর পুয়েরটো রিকো হাঁক পাড়ে,
‘কবে আবার দায়িত্বভার দিই তোকে?’


দেশ কেটে দেশ , সেটা কেটেই দেশ আরো
হায়না যেমন ভাগ করে যায় লাশ ঘিরে,
মানুষ ভাবে পৃথিবী তার বাপ-জমিন,
ঝগড়া চলে তিব্বতে বা কাশ্মীরে।


আর্যতীর্থ