। খণ্ডিত।


রোজ দেখি, আমি আরো খণ্ডিত হই।
পরিচয় ছিঁড়ে দিয়ে ওরা এসে বলে,
আজ থেকে, তুই গেলি অমুকের দলে,
অপারগ , মেনে নিয়ে সে তকমা বই ,
গতকাল যা ছিলাম, আজ সেটা নই।


স্বাধীনতা মেনে নিলে অঙ্গ হারিয়ে
এ শাস্তি হয়তো তার প্রাপ্য নিয়তি।
ধর্ম বর্ণ জাতে থমকে প্রগতি,
দিন যায় নানা রঙা পতাকা নাড়িয়ে,
প্রতিটি আলোর দোরে বিভেদ দাঁড়িয়ে।


কারা যেন দরজাতে লেবেল সাঁটায়
এই বাড়ি ঈশ্বর ওই দিকে থাকে
প্রার্থনা দিয়ে ভাগ করেছে আমাকে
ভালো করে মেপেজুপে ভোটের কাঁটায়
থাকবো কি থাকবো না সনদ পাঠায়।


লেবেলের ঠিক নিচে নোটিস লাগানো
মাতৃভাষার নাম বড় করে লেখা
অন্য প্রদেশে আমি বিদেশী ও একা,
সেটাই মালুম দিতে আছে আটকানো,
দরকারে দাবড়িয়ে  যাবে ভাগানো।


তার ঠিক নিচে লেখা স্পষ্ট আঁচড়ে
কত  শতাংশ কোটা প্রজন্ম পাবে,
শিক্ষার ভিক্ষাতে কোথায় দাঁড়াবে
সেসব লিখেছে দেশ হিসেবী আখরে,
মেধাকে ঢুকতে দিতে দিয়েছে না করে।


খণ্ডিত হতে থাকি প্রতিবাদ বিনা,
ঘেটোদের ঘেরাটোপ ছোটো হয়ে আসে,
পরিখা ও কাঁটাতার বাড়ে চারপাশে,
আর বাড়ে পড়শিকে দেখে ভয় ঘৃণা,
কারোর জন্য আর কেয়ার করিনা।


মাঝরাতে ভয় মিশে থাকে নিঃশ্বাসে
যদি ওরা বলে  আমি নাগরিকই না?


আর্যতীর্থ