। লাশের লড়াই।


( জামাল খাসোগির ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে হত্যা..তাঁর জন্য এই কটা লাইন...)


লাশ হয়ে সে লড়াই ছাড়েনি।
সেই যে রাজার বিরুদ্ধতায়
কলম থেকে আগুন ছড়ায়
হত্যা হলো, লাশও গায়েব,
তবুও সে তার লড়াই হারেনি।


রাজামশাই লম্বা হাতের মালিক।
ভিন দেশে তাঁর দূতাবাসে
বধ্যভূমির গন্ধ ভাসে,
খুন হয়েছে, কেউ দেখেনি,
কেউ জানেনা কোথায় সাংবাদিক।


তুর্কী এবং মার্কিনী জল মাপে।
রাজামশাই দিচ্ছে নানান টোপ,
ঝোপ বুঝে ঠিক মারতে হবে কোপ,
সাংবাদিকের মৃতদেহের ওপর
উঠছে ঘুঁটি মইয়ে এবং সাপে।


জামাল নিয়ে তুলকালাম চলে,
সবাই জানে কি হয়েছে, তবু।
শাসানি দেন পেট্রোডলার প্রভু,
রেগে গেলে কামড়ে দিতে পারি
এসব নিয়ে কেউ যেন না বলে।


ফুললে পকেট চুপসে যাবেন তুর্কী
মার্কিনীরাও ব্যবসা বোঝেন খুব
দূতাবাসে ঢুকেই কোথায় ডুব,
সেসব নিয়ে আজব ব্যাখ্যা হবে।
সত্য তাতে থেকে যাবে দূর কি?


দূর যাবেনা , বলতে সেটা পারি।
চেষ্টা যতই হোক না কিনে নিতে,
মুখ বেচে দিক তুরস্ক মার্কিনীতে,
তা বলে লোক ভুলবে খাসোগিকে,
যে ভাববে সে নিতান্ত আনাড়ি।


লাশ হয়ে সে লড়াই রাখে জারি...


আর্যতীর্থ