। মা ফলেষু।


আল্লাহর কসম , আমি এখন বন্দুকে হাত দেবো না।
আর্তনাদ করে উঠলো তালিবান বীর,
ওদিকে যাদের ভিড় তারা সব আমনাগরিক,
আমারই মতো নিষ্ঠা ভরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে,
আমার আব্বুও তো এই কাবুলেই ফল বিক্রি করতেন,
চাচার দোকান ছিলো আতরের।
ওই ভিড়ে আমি অস্ত্র চালাবো না,
এটা যুদ্ধ নয়, স্রেফ হত্যা।


বুদ্ধের দিব্যি, ওদের হাতে কোনো অস্ত্র নেই, সায়া!
মায়ানমারে বিচলিত এক সাধারণ সৈনিক। ওরা মিছিল করছে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে, সেটা জানি,
কিন্তু তা বলে লাঠি চার্জের জায়গায় অটোমটিক রাইফেলের গুলি!
দয়া করুন সায়া,
এই একমুখী সংঘর্ষে আর কিছুক্ষণ বাদেই ওপাশে লাশের পাহাড় আর এপাশে স্রেফ খালি হওয়া বুলেটের খোল।
আমার বন্দুক উঠছে না, উঠবেও না , মাননীয় সায়া লে!


একটা গ্রামের সমস্ত মহিলাকে ধর্ষণ? সমস্ত পুরুষ খুন?
শিউরে উঠলো ডি আর কঙ্গোর  নব্যযুবা জঙ্গী।
ওরা তো সৈনিক নয়, সাধারণ ভিতু গ্রামবাসী, তবে কেন?
Mzee, আমিও ওদের মতো গাঁয়েই মানুষ,
লুঠপাট করা হোক ,
শত্রুর লোক হলে তাদেরকে খুঁজে খুঁজে মারবো নাহয়।
তাই বলে পুরো গ্রাম, প্লিজ কমান্ডার ,
যিশুর দোহাই, পারবোনা ওই ভাবে করতে কোতল।


জিয়ান সেং, ওরা কলেজে আমার বন্ধু ছিলো ।
চেঁচিয়ে উঠলো চৈনিক সৈনিক।
ওরা কোনো অপরাধ করেনি,
স্রেফ উইঘুর বলে মহান পিপলস কংগ্রেস বলেছেন মারতে ওদের।  
রাষ্ট্রের জয় হোক,
ফায়ারিং স্কোয়াডের সদস্য আমাকে করবেন না জিয়ান সেং, ওদেরকে লাশ হতে দেখতে পারবো না।


অতঃপর, কাবুলের রাস্তার মোড়ে,
ইয়াঙ্গনের খোলা ময়দানে,
কঙ্গোর গ্রামের গেটের সামনে
আর চীনের পুলিসি ব্যারাকে
নানা ভাষায় একই হুংকার শোনা যায়,
‘ চোওওওপ! বন্দুক ওঠা,
তাতে রাষ্ট্রের কল্যাণ, জনগণের কল্যাণ।
তুই স্রেফ ক্ষমতার অসহায় ট্রিগার,
যার শুধু কাজ গুলি করা !’


বহু শতাব্দীর ওপার থেকে
হাহাকার করে ওঠেন যদুপতি বাসুদেব
‘ দেখো দেখো ধনঞ্জয়,
সেই একই ভুল আবার করলো মানুষেরা!’


আর্যতীর্থ