।মেরুদন্ড।


লেগে থাকো বাংলা আমার, এগোও পলিটিক্সে,
বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙার আইডিয়াটি ঠিক সে।
উপড়ে ফেলো শেকড়সমেত অতীত মেরুদন্ড,
আহা লোকটা নাহোক, স্ট্যাচুটা তো করতে পারোই খন্ড।
এখন যখন জোড়হাত সব, মাটির দিকে ন্যুব্জ,
বিদ্বান নয়, কৃষ্টিতে আজ রাজাই যখন পূজ্য,
তখন এমন শক্ত লোকের মূর্তি রেখে লাভ নেই,
যুগ-বিপরীত হয়ে যিনি দাঁড়িয়ে চোখের সামনেই।


ভালোই হলো ভোটের ছুতোয় মূর্তি ভেঙে ফেলে
রাজনীতিতে বড়ই বিপদ, আপদ টিঁকে গেলে।
কখন যে কোন পাগল যুবক পায়ের কাছে জুটবে,
বিদ্যাসাগর নামটা হঠাৎ গুগলসার্চে ফুটবে,
কিংবা কোনো কলেজছাত্রী মূর্তির দিকে তাকিয়ে,
চিরঅভ্যাসে আর চলবেনা শিরদাঁড়াটাকে বাঁকিয়ে,
এমনই আগামী ঘটনাকে ভেবে সক্কলে ওঠে আঁতকে,
ভিড়ের সুযোগে তাই ভেঙে দেওয়া চিরপ্রতিবাদী হাতকে।।


শিরদাঁড়া কবে নিলামে চড়েছে, চাটুকার ভরা রাজ্যে,
রাজার কথাতে সায় দিয়ে শুধু মাথা দোলানোই কাজ যে।
যে শিকড় থেকে শিক্ষার গাছ বাঙালীর মনে বিস্তার,
বর্তমানের রাজনীতি তাঁকে মারতে ছেটায় বিষ তার।
লাভ নেই কোনো রঙদাসদের কথার চাপানউতোরে,
বিদ্যাসাগর ভাঙা বহু আগে, মূর্তি তো স্রেফ ছুতো রে।
রাজনীতিকের  কুমীরকাঁদন তোমার আমার শোক না,
ফের শিরদাঁড়া জন্মাতে দেবে এরা সেরকম লোক না।


এ ভাঙার থেকে মেরুদন্ডের আবার জন্ম হোক না..


আর্যতীর্থ