। মৃত্যু যখন ইস্তেহার।


দেশের রাজা আছেন ভালো ,দীর্ঘজীবী হোন তিনি,
শক্ত মুঠোর শাসনে তাঁর  সময় থাকুক বন্দিনী!
বলেন যেসব বুক বাজিয়ে, আমরা শুনেই কৃতার্থ,
এমন দেশে থাকছি সেটা ভাগ্য আমার পিতার তো।


সেদিক থেকে দেখতে গেলে যুক্তিটি তাঁর মন্দ নয়
( তোমরা ভাবো সবকিছুতেই ভোটের বিকট গন্ধ বয়)
চাষীর মরণ বিরোধী দল বানায় যদি ইস্তেহার,
মৃত্যু সেনার আনলে টেনে হচ্ছে কোথায় দোষটি তাঁর?


সত্যি কথাই, চাষীর রোজের খিদের সাথে সংগ্রামে,
মরবে সেটা ঠিকই ছিলো বিকিয়ে ফসল কম দামে।
সৈনিক তাঁর শুরুর থেকেই মৃত্যু আঁকেন উর্দিতে,
জানতে পেলাম চাষীও বাঁধা যমের একই চুক্তিতে।


বুকের ভেতর যন্ত্রণা হয় স্মৃতি ছুঁলে পুলওয়ামার,
রাজাধিরাজ, সে কষ্টতে ভাগ রয়েছে সব প্রজার।
অন্য দেশে মরলো কত সান্ত্বনা নেই তাই দিয়ে,
ভরছি আজও কবর-মাটি, ফিরছি চিতার ছাই নিয়ে।


হয়তো রাজন অগ্রে রাখেন প্রতীক থেকে দেশহিতকে,
তবু কেন শান্তিকালে দেখছি এত শহীদকে?
কেন জানতে চাইলে কিছু ঢাল করা হয় পাশের দেশ,
জন্মভূমি ক্রমেই কেন করায় মনে তাসের দেশ?


মৃত্যু যখন সিংহাসনের ঝগড়াঝাঁটির বিষয় হয়,
রেজকি প্রজার দিনযাপনে ঘনায় তখন বিপর্যয়।
স্বয়ং রাজা টানেন যদি ভাষণ-কথায় মৃত্যুকে,
কাঁপতে থাকা আধমরাদের ভূগর্ভে যায় ভিত ঢুকে।


হোন মহারাজ দীর্ঘজীবী, সুখে থাকুক রাজার লোক,
মরলে চাষী, মরলে সেনা, প্রজার ঘরে একই শোক।


আর্যতীর্থ