। নেই মিছিল।


এ শীত বড় দুঃখে কাতর,
অশ্রু জমে পাড়ায় পাড়ায়
ভিতের থেকে খসিয়ে পাথর
আঠারো তার শিকার বাড়ায়


বৃদ্ধ ওঁরা , যাওয়ার ছিলো
কালের অমোঘ নিয়ম মেনে,
তাই বলে এই নেই-মিছিলও
দেয় না কোনো শান্তি এনে।


প্রজন্মরা এগিয়ে গেছে,
কোনদিকে তা প্রশ্ন বটে,
পাহাড়চুড়োয় যে চড়েছে
তার যাওয়া তো নিচেই ঘটে।


তবুও তো সেই পাহাড়গুলোয়
লেপটে থাকে সোনার স্মৃতি
উন্নয়নের প্রমাদ চুলোয়,
অতীত জ্বলার থাকনা রীতি।


কজন শোনে গান দ্বিজেনের?
পাঠক কি পান নীরেন্দ্রনাথ?
ছবি দেখে মৃণাল সেনের,
শেষ কবে কার নির্ঘুমী রাত?


ফিসফিসিয়ে মৃত্যু বলে
সিন্দুকে কি রত্ন রাখা,
হয়তো এবার কৌতুহলে
প্রজন্ম তার খুলবে ঢাকা।


ওই তো কিশোর হঠাৎ করে
দ্বিজেন শোনে ইউটিউবে,
ওই তো যুবক শীতের ভোরে
নীরেন্দ্রতে যাচ্ছে ডুবে।


ওই তো মেয়েটা খুঁজেপেতে
মৃণাল সেনের দেখছে ছবি
ছিলো যারা অলক্ষ্যেতে
মৃত্যু করে স্পষ্ট সবই।


বুঝছি না তাই সময় এলো
কান্না নাকি শোকদমনের
মরণ থেকেই মশাল জ্বালো
সময় এবার উত্তরণের।


তবুও এক বিষণ্ণতা
সত্য দাগায় মোটা দাগে,
দেখতে ফিরে অতীতকথা,
এখন তাঁদের মৃত্যু লাগে।


আর্যতীর্থ