। নির্ঘুম।


ঘুমপাড়ানি মাসি পিসির কে আর নেবে নাম,
হাত বাড়ালেই  বন্ধু হতে আছেন অ্যালজোলাম।
চিতার মতো জ্বললে সময় রাত হলে নিঝুম,
একটা বড়ি আনতে পারে মড়ার মতো ঘুম।


ঘুম আসে না এখন কারো, ছোটোর থেকে বড়,
কাল কি হবে সে ভাবনারা কাঁটার মতো জড়ো।
আগামী যা গর্ত সাজায়  তা এড়াবার লক্ষ্যে,
ঘুম ফাঁকি দেয় স্থিরতাহীন বর্তমানের  চোখকে।


ইঁদুররেসে  আবার ঢোকা ইঁদুররেসের শেষে,
ধরতে পারো প্রথাই এখন চাকরিখাকী দেশে।
ডেডলাইনের হুমকি এবং অধরা টার্গেটে,
ঘুম কোন ছার, কালকে লাথি পড়তে পারে পেটে।


অবশ্য ওই গালভরা নাম শুনতে ক’জন পায়,
নালার জলে বেশির ভাগের ডিগ্রী বয়ে যায়।
ইঞ্জিনিয়ার বি পি ও তে, বি কম সিকিউরিটি,
রাত জেগে যায়, ঘুমের মানে টার্মিনেশন চিঠি।


খাটনি শেষে নাক ডাকিয়ে ঘুম পারেনা দিতে,
চাষার জীবন উথালপাথাল বেহাল এম এস পি’তে।
শ্রমিক জানে ভিনশহরে ঘুম হবে না স্থায়ী,
মারী এলেই নামবে পথে, আবার পরিযায়ী...


মধ্যরাতে বুটের আওয়াজ কোনো কবির দোরে,
রাষ্ট্র তাঁকে একা ছেড়ে ঘুমান কেমন করে।
গরাদ ধরে জেলের ভেতর ছাত্র একা জেগে,
অন্যভাবে ভেবেছে তাই রাজা গেছেন রেগে।


রাজপ্রাসাদের তাবত সেপাই এবং কলমবাজ,
তারাই শুধু নাক ডাকিয়ে ঘুমায় নাকি আজ।
সত্যি ঘুমায়? সন্দেহরা রাত জাগাবে ঠিকই,
কোনখানে ফের জ্বলতে পারে দ্রোহের আগুন ধিকি..


হয়তো কারো স্বপ্নে আজও নিদ্রাবিহীন আশা,
এ দেশটা ফের শান্তি পাবে, ফিরবে ভালোবাসা।
সে পথ খোঁজার মশাল জ্বেলে পেরোয় হাজার যাম,
মানুষ যখন ভাগ করেনা আল্লাহ যিশু রাম।


বাদবাকিদের হাতের কাছেই থাকে অ্যালজোলাম..


আর্যতীর্থ