। নিয়তি।


মহীরুহ কেটে ফেলে সান্ত্বনাচারা পোঁতা সভ্য মানুষ,
পৃথিবী ফেলেছে ধরে তোমাদের ছক
প্রকৃত প্রেম নেই তোমাদের সৌখিন প্রকৃতি প্রেমে
এসি ঘরে বসে শুধু মিছে বকবক।
সভা শেষে খাবারের প্যাকেটটি সযত্নে  মুড়ে প্লাস্টিকে,
তোমরা ফেরত যাও চকচকে ঘরে,
যার ভিতে মাটি কাঁদে সদ্য হত্যা করা পুকুরের শোকে,
অপরাধ ঢেকে দেয় নোট কড়কড়ে।
মালিদের কথা শোনা হাইব্রিড দেবদারু, বাধ্য ছাতিম,
সারি দিয়ে চট করে বড় হওয়া গাছ
সে সব লাগিয়ে বলো অরণ্যের ঋণ সব দিয়েছো চুকিয়ে,
ধরিত্রী সেই ফাঁকি করেছেন আঁচ।


তোমরা ভেবেছো বুঝি পৃথিবীর অনন্ত গান্ধারীব্রত,
ইচ্ছে-পট্টি পরে কিচ্ছুটি দেখেন না  তিনি
ভুলে গেছো, তোমাদের জন্ম হলো এই তো সেদিন,
আদিম বৃক্ষতে তিনি প্রথম জননী।
কনিষ্ঠতম যদি জ্যেষ্ঠকে লুঠ করে প্রগতি দাবীতে
গাছেদের শ্মশানকে জমি বলে ডাকে,
শিকড়ের ক্ষত আর কত চাপা দিতে পারে নিয়নের আলো
ধর্ষিত মাটি জেনো সব মনে রাখে।
আজ তাই, আকাশে হুকুম গেছে মেঘেদের কাছে,
বর্ষাতে জলধারা নামাবে না ওরা,


সভ্য মানুষ , গাছহীন মরুভূমি তোমার নিয়তি,
শুরু হয়ে গেছে দেখো ওই ধুলো ওড়া।


দেখি কতদিন ছোটে প্রগতির ঘোড়া..


আর্যতীর্থ