।ওহে একলব্য।


বুড়ো আঙুলটা সামলিয়ে রেখো, একালের কথা শোনো,
অঙ্গুষ্ঠটি তাঁর হাতে যাবে , সেটা চাইবেন দ্রোণ।
হয়তো তোমাকে বলবেন উনি, ওনাকেই মানো গুরু,
তবু যদি সেটা মুখে বলে দাও, সেটাই শেষের শুরু।


আসলে কি জানো, প্রতিভা যখন নিজে খুঁড়ে নেয় পথ
দ্রোণ’রা দেখেন এগোতে দিলেই আঁধার ভবিষ্যৎ।
ওনার কোচিংয়ে যারা সেরা হয়, তারা তো বিজ্ঞাপিত,
গুরুহীন কেউ অতটা এগোলে কে আর শিক্ষা নিতো!


আজকাল কেউ একাকী শেখে না, যুগ বড় অগ্রণী,
সফল হলেই কোচিংয়ের নাম, অথবা কি প্রকাশনী
তুমি তো নিজেই পড়ে সেরা হও, সরল গ্রাম্য ছেলে,
দ্রোণের কোচিং লাটে উঠে যাবে খবর বাইরে এলে।


সেরার খবরে দৌড়িয়ে আসে তাবত ছাত্রশালা,
‘বলে দাও তুমি আমাদেরই লোক’ অনুরোধে ঝালাপালা।
যদিও তোমার স্বাভাবিক মেধা , নিজেই চুড়োয় ওঠো,
শোভা পাবে ঠিক কোচিংয়ের অ্যাডে ছাত্র হিসেবে ফটো।


অমুক কোচিংয়ে ডাক্তার হয়, তমুকে ইঞ্জিনিয়ার,
দ্রোণ খুলেছেন নানাবিধ নামে শিক্ষাবিপণী তাঁর।
অঙ্গুষ্ঠটি তাঁর কাছে দিলে, সে খবরে বাজে ঢাক,
তোমার ছবিতে পরের ব্যাচের কোর্স ফি’স বেড়ে যাক।


হয়তো তোমাকে উৎসাহ দেন শিক্ষক গ্রামস্কুলে
বিজ্ঞাপণের চটক আড়ালে সে নামটি গেছো ভুলে
শিক্ষা এখন আলু পটলের মতন পণ্য দ্রব্য,
তোমার মগজ ওরা কিনে নেয়, বুঝেছো কি একলব্য?


আঙুল কেটো না, লেখা শুরু হোক তোমার নতুন কাব্য।


আর্যতীর্থ