।পাঁচ মিনিট।


আচমকা আজ মৃত্যু এসে দাঁড়িয়ে পড়ে সামনে তোমার,
হাত বাড়িয়ে বলে যদি দিলাম মোটে পাঁচ মিনিটই,
টিক টক টিক এই টাইমার , চল করে নে কাজ কিছু শেষ,
বাকির ঘরে যে সব ফাঁকি, জীবন ভেবে ইনফিনিটি।


কি করবে পথিক? চলার পথের মাইলস্টোনে দেখলে লেখা,
‘ যাত্রী ওহে, যাত্রাশেষের বাঁজবে বাঁশি পাঁচ মিনিটে
বাক্সপ্যাঁটরা নামাও এবার , করতে হবে জলদি কিছু’
যাওয়ার  আগে কোন চারাকে দিয়ে যাবে জলের ছিটে?


ঝগড়া এবং বিবাদ যেসব গিললো জীবন চওড়া সুদে,
সত্যি বলো, যাওয়ার আগে সেসব কি আর খুব ভাবাবে?
কাছের মানুষ, যাদের সাথে হয়না কথা রোজের চাপে,
চট করে কি ভালোবাসি বলতে তাদের ফোন লাগাবে?


চিহ্ন রাখতে চাইছি সবাই, নিজস্ব আর স্থায়ী কিছু,
প্রতীক হয়ে সাক্ষ্য দেবে পায়ের এ ছাপ মিলিয়ে গেলে,
কিন্তু এখন সারাটা দিন অচিন লোকের যাপন ঘেঁটে,
প্রিয়জনের আঙনে কি সুখ কুড়োবার সময় মেলে?


যবনিকার আগে যখন তিনশো সেকেন্ড মোটে বাকি,
তখন তোমার সেলফিগুলোর দাম দাঁড়াবে কানাকড়ি,
বুকের কাছাকাছি রেখেও যাদের সাথে হয়না কথা,
দেখবে তখন কাঁপা হাতে চলছো খুঁজে সে নম্বরই।


প্রিয়জনের সময় কেটে আনাপসানাপ খিটিমিটি,
কেউ কি জানো সময় পড়ে আছে কিনা পাঁচ মিনিটই?


জীবন থেকে খারিজ হওয়ার যে কোনো দিন আসবে চিঠি...


আর্যতীর্থ