।পঞ্চাশ পেরোলেই।


পঞ্চাশ পেরোলেই ফিনিশিং লাইনটা মাঝে মাঝে উঁকি মেরে যায়,
হুট করে মাথা ঘোরা, বুক জুড়ে আনচান যদি বা অল্পতে সেরে যায়,
তবুও সারেনা যেন পুরোপুরি তারা,
স্মৃতিপট জুড়ে এক কালো সিনেমার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে চলে যাওয়া নানান চেহারা।


সেই যে কে অফিস বেরোতে গিয়ে বুক চেপে বসে পড়ে ওঠেইনি আর,
একটু আধটু নেশা, মোটামুটি কনট্রোলে প্রেশার সুগার,
তার সে কাহিনীর রিপ্লে রিপিট হয় প্রত্যেক গ্যাস অম্বলে, দিগন্তে যেন এক অন্ধকার ডাক দেয় ‘ এসে গেছি ‘ বলে।


‘ কিসসু হবেনা’ র যুবক বেপরোয়া ঔদ্ধত্য পড়েছে ঝিমিয়ে,
আমি ছাড়া  সাংসারিক ব্যঞ্জনটি রাঁধা হবে কি দিয়ে,
সেই দাম্ভিক দৃঢ়তায় ফাটলের দাগ,
বয়েসের ছুতো দিয়ে শাসানিতে বদলেছে তাবত সোহাগ।


এতদিনে শিকড়েরা এদিকে ওদিকে গেছে মাটির গভীরে,
কেউকেটা মহীরূহ ঝাপটেই উপড়াবে সেইসব ছিঁড়ে,
শান্ত একটা দিনে নিমেষেই হতে পারে ঝড় বিদ্যুৎ,
সেসব ভাবনাগুলো মাথায় ঢুকলে মনে হয় ‘ ধ্যুত,
মানেহীন কাজ দিয়ে ঘড়ি বরবাদ করা স্রেফ হদ্দ বোকামি, দিনশেষে চোঁয়া  ঢেঁকুরের মতো বিস্বাদ লেগে যে রুটিনে,
এবার আর সেইদিকে যাবোই না আমি।


ভাবলেই হয় নাকি?
ছাদকে আকাশ ভেবে নিজের সঙ্গে করা আপাতচালাকি, বাধ্যবাধক আঠা হয়ে রুটিনে সাঁটিয়ে রাখে  বদভ্যাস যত, অতই সহজ হলে তো তো গুরু
নেশা ইত্যাদি কবে ঝেড়ে ফেলা যেতো!


সুতরাং চর্বিতচর্বন অভ্যাসদাস হয়ে আবার চিবাই,
দিনশেষে শূন্যের ভাগশেষ থেকে, জং ধরা সখ বলে ‘ভুলে গেলি কি ভাই?
কাল তুই দুম করে নেই হয়ে গেলে,
কেউ মনে রাখবে কি কিভাবে বা কোন ঢং য়ে গিয়েছিস খেলে, নাকি খেলোয়াড়দের ভিড়ে তোর রেডকার্ড দেখা কোনো শোরগোলই তুলবে না?
কদ্দিন লাগবে এটা বুঝে নিতে,জীবনের মানে শুধু ঠিক থেকে ভুল চেনা?’


বুকের মধ্যে হঠাৎ চিনচিন করলে এসব ভাবনা বড় পুরু হয়ে আসে।
বাকি আছে কিছু আর মিনিট ঘন্টা দিন মাস বা বছর, কে যেন বলছে সেটা ইশারা আভাসে।


কি একটা হয় যেন সীমা পঞ্চাশে...


আর্যতীর্থ