। পাঁচলাইনের পাঁচ।
                     । ১।
আমাকে সঙ্গে নেবে বলেছিলো যারা,
বন্দর ছেড়ে কবে চলে গেছে তারা, টেরই পাইনি।
আমি তো চাইনি যেতে সেসব সময়,
হাত কেউ বাড়ালেই তা ধরতে হয়, একথা কোথায় লেখা?


কেন তবু প্রতিদিন দোষ দিই দুনিয়াকে আজ আমি একা?


                        । ২ ।
নিভে যাওয়া কথাদের ছাই ঘেঁটে খুঁজি,
আগুন কোথাও আছে, উত্তাপে বুঝি,  শুনেছি যদিও
স্ফুলিঙ্গ একটিও নাকি আজ নেই বেঁচে
তবুও ইতিহাস যা লিখে রেখে গেছে, ভুলে যাবো তা কি?


ছাই থেকে উঠে এসে আকাশের দিকে যায়, যে ফিনিক্স পাখি..


                        । ৩।
কথারা এসে বসলে গা ঘিন ঘিন করে প্রতিশ্রুতির
ফের মালা গাঁথা হবে নকল পুঁতির, আসল মুক্তো বলে।
অবশ্য আস্তাবলে ঘোড়া নেই ,সব খচ্চর ,
যে রাজাই বসুন না তাদের ওপর, গলায় কিসের মালা কি আসে যায়,


আসল মুক্তো মণি পিছু থেকে সাত ভূতে লুটেপুটে খায়।


                         । ৪ ।


ঈশ্বর, এবার বসার জায়গাটা পাল্টাপাল্টি হোক।
অলস সিংহাসনে মুদ্রিত রেখে চোখ, আলগোছে প্রার্থনা শুনে
প্রণামী অর্থ গুণে দেখে নেন ভক্তির পরিমান,
যার ট্যাঁক যত ভারী সে তত মহান, তাই তো চলেছি দেখে,


আসুন মানুষ হোন , দেখি তারপর আপনাকে মনে রাখে কে কে।


                            ।৫।


শবেরা বদলে যায় শহীদ আর শত্রুতে জীবিত তাগিদে।
যতটা মেটানো যায় মৃত্যুর খিদে, ততই পতাকা ওড়ে স্বীয়।
শান্তি কথাটা আজ বড় বায়বীয় , পরিবর্তনশীল,
কাচঘরে থেকে মারা ক্ষমতার ঢিল, মানুষের অভ্যাস আছে বরাবর।


শয়তানি এক আছে সহস্র শতকে, বদলিয়ে চলেছেন শুধু ঈশ্বর।


আর্যতীর্থ