। শিক্ষা।


একশোতে  একশো।  কিংবা এক নম্বর কম।
একসময়ে খবর হতো। এখন তো হরদম।
আশি পেলে লেটার হতো। সেটাও পেত কজন?
প্রতি স্কুলে নাইনটি প্লাস এখন কয়েক ডজন।


শিক্ষার গতি উর্ধ্বমুখী।প্রতি প্রজন্মে বাড়ে জ্ঞান।
পাশ করে যায় আশি শতাংশ।সেটা পরিসংখ্যান।
নিন্দুকে বলে কারচুপি আছে। আসল গল্প অন্য।
নামানো হয়েছে শিক্ষার মান পাশ করাবার জন্য।


কি লাভ হয়েছে? শিক্ষিত কিছু বেকার বেড়েছে শুধু।
লাখ লাখ পাশ। কজনের জোটে চাকরি নামক মধু?
গ্রাজুয়েট দেয় চায়ের দোকান। বলো এতে দোষ কার?
রোজ জঞ্জাল সাফ করে যায় এম এ পাশ ঝাড়ুদার।


শিক্ষা কি শুধু অক্ষরজ্ঞান? লিখতে পড়তে শেখা?
পেটের ভাতের ঠিকানা থাকেনা শংসাপত্রে লেখা।
বেশী নম্বরে বেশী শিক্ষিত। ধারণাটা বদলাও।
নম্বর ধুয়ে কোন জল খাবে? দুই হাতে কাজ দাও।


আর্যতীর্থ