। সুখের খোঁজে।

সুখ খুঁজছি। অনেকটা সুখ। জানো কোথায় আছে?
ভিক্ষাবাটি পেতেছিলাম পয়সাকড়ির কাছে।
পয়সা দিলেই সুখ কেনা যায়, ছোট্টবেলায় শোনা
সুখের রঙিন নক্সিকাঁথা পয়সা দিয়ে বোনা।

সময়শরীর পাত করে দিই। পয়সা আমার চাই।
পয়সা খেয়ে পেট ভরেনা, রাবনচিতার খাঁই।
পিঁপড়ের পেট চুষে খেয়ে মাঝবয়েসে এসে
পয়সাকড়ির ঢিবি হলো ব্যাংকে অবশেষে।

এবার অনেক সুখ মিলবে। কোথায় গেলে পাবো?
একশো মজা লুটতে এবার সুখের খোঁজে যাবো।
নোটের তাড়া হাতে ধরা সুখ রে তোরা কই?
দুঃখগুলো জীবন থেকে পিটিয়ে তাড়াবোই।

কোথায় গেলো? পয়সা ঢেলে আরাম পেলাম বেশ
এত করে খুঁজছি যাকে সেই তো নিরুদ্দেশ!
লাটাই হাতে  পেয়ে দেখি ঘুড়ি কখন ছেঁড়া,
পয়সা ওড়ে জলের মত, সুখের ঘরে ঢেঁড়া।

তাহলে সুখ আছে কোথায়? কেউ বলো আমাকে
না দেখা সেই সুখের পাখি কোন মুলুকে থাকে?
কানাঘুঁষোয় শুনতে পেলাম লোকের মুখে মুখে
রোজের ছোটো কাজে নাকি সুখ রয়েছে ঢুকে।

এখন আমি বদলে গেছি। হাসি মজায় থাকি,
অচেনাকেও হঠাৎ করে বন্ধু বলে ডাকি।
হাল্কা খুশীর টুকরোগুলো জীবনে দিই গুঁজে
অবাক কান্ড! এখন আমায় সুখ নিয়েছে খুঁজে।

আর্যতীর্থ