।কাশ্মীরকথা।

একদিনের জন্য চলেছি কাশ্মীর
আয়োজক ভুলে কেউকেটা ঠাউরেছে
আলোচনা সভা, বিষয় সুগম্ভীর
বক্তা হিসাবে নামখানা আউরেছে
খবর শুনেই গিন্নি বেজায় চটে
জিভখানি যেন শান দেওয়া খরগে
অতি বেরসিক পতিটি কপালে জোটে
পরিবার ছেড়ে চলেছে ভূস্বর্গে।
মায়ের চিন্তা নিয়েছে অন্য পথ
স্বর্গ এখন স্বর্গে যাওয়ার ভূমি
স্বাধীনতা নিয়ে বিরুদ্ধ মতামত
সেখানে যাওয়ার কেন এ গোয়ার্তুমি
ভাবনায় আসে সৈনিক যুবা কোনো
রুটিনমাফিক ডিউটিতে কাশ্মীরে
অবসর পেলে মনে জাগে দোনোমনো
একলা ঘোরা কি উচিৎ ডালের তীরে?
প্রেয়সী যে তার বহুদূর এক গাঁয়ে
শীর্ণ নদীর পাড়ে বসে কত কথা
অবসরে বসে চিনার গাছের ছায়ে
ডালের জলেতে প্রেমিকের কথকতা।
ওদিকে আরেক তরতাজা কাশ্মীরী
কিশোর বয়সে বন্দুক নিল হাতে
তারও মন চায় নিজের গাঁয়েতে ফিরি
পাহাড় যেখানে রুপো হয় জোছনাতে
মনে পড়ে তার ডাগর হরিন চোখ
হিজাবআড়ালে গান হয়ে যাওয়া হাসি
চুপি চুপি দেখা,পাছে দেখে ফেলে লোক
চোখের ভাষাতে বলে দেওয়া ভালোবাসি
বেলাশেষে রোদ ছায়ার সঙ্গে খেলে
মায়াবী আলোর ঝিকিমিকি ডাল লেকে
হিমেল বাতাসে চিনার পাতারা হেলে
কোকিল হঠাৎ ডেকে ওঠে কোথা থেকে
কাল মুখোমুখি হবে বুঝি বন্দুকে
আজকে রয়েছে পাশাপাশি  বসে পাড়ে
স্মৃতিতে মেদুর বিষন্ন দুটো বুকে
লেকের জলটা ছলাৎ ছলাৎ করে।
আর্যতীর্থ