। ভিজতে পারতাম।

বর্ষাকালে জল থইথই মনের ময়ূর বৃষ্টি দেখে তুরুক নাচে
জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখি, ভিজলে কি আর এই বেচারার মোবাইল বাঁচে!
হাত বাড়িয়ে আঙুল ভেজাই বৃষ্টি আমায় রেহাই দিও
মোবাইলবিহীন বর্ষা পেলে ভিজবো ঠিকই দেখে নিও।
মনে পড়ে স্কুলের থেকে ফিরছি ভিজে বিনা ছাতায়
দুষ্টুমিতে কাদার ছিটে প্যান্ট পেরিয়ে জামার হাতায়
বাড়ি ফিরে মায়ের বকা তাতে ছিলো থোড়াই কেয়ার
এখন আমার শ্রীরূপ দেখে এসব কথা ভাববে কে আর!
এখন বেরোই ছত্রধারী, বৃষ্টি এলে শেড খুঁজে নিই পথের ধারে
ওয়াশমেশিন চললে বেশী বিজলিবিলে বিজলিঝটক লাগতে পারে।
সত্যি বলছি, বর্ষাকালে ভিজতে যে চাই অঝোরধারায় বৃষ্টিপাতে
বিজলি কবে সস্তা হবে আছি শুধু সেই সময়ের অপেক্ষাতে।
কলেজকালে বর্ষা এলে কাদামাঠে ফুটবলে পা কজন মিলে
জার্সিটারও রঙ চেনা দায় যখন কাদায়  গড়িয়ে পড়ি জোর ট্যাকেলে।
বাড়ি ফিরে নীলপুকুরের  ঠাণ্ডা জলে গা ধুয়ে নিই সাবান মেখে
ভরপুকুরে সন্ধেবেলা বৃষ্টিখেলার শব্দ  আজও কানে আসে স্মৃতির থেকে।
শহরজীবন গতে বাঁধা, কর্পোরেশন সময়মাফিক জল দিয়ে যায় টাইমকলে
বৃষ্টি ভিজে একশা হতাম হাতের কাছে এক আধখানা পুকুর পেলে।
প্রেমের প্রথম বর্ষাকালে বন্ধ ছাতায় দুজন মিলে চুপচুপে হই কলেজ স্ট্রিটে
চোখে ভাসে সাপের মতো কালো বেণী সাপটে আছে ভেজা পিঠে
সেই প্রেয়সী গিন্নী এখন, বর্ষা এলে আমায় করেন ভিজতে মানা,
একটু যদি হ্যাঁচ্চো হলো অসুখ ভয়ে শ্রীমুখখানি হাঁড়িপানা।
সত্যি বলছি বৃষ্টি এলে ভেজার জন্যে আজও আমার আকুলহিয়া
শুধু যদি বউটি আমার বদলে গিয়ে আগের মতো হতেন প্রিয়া।

আর্যতীর্থ