। প্রেমের লেখা।


রোজ লিখে যাই, কথা দিয়ে করি ছন্দমিলের বাঁধুনি
শব্দ কপালে রসকলি টেনে গেয়ে যায় একই কাঁদুনি।
কলমে এখনো এলেম হয়নি সব লিখে ফেলি যা শুনি
ওই কোনোমতে টকঝাল দিয়ে জগাখিচুড়ির রাঁধুনি।


বিষয়ের খোঁজে প্রাণপণে দেখি জীবনের খাতা হাতড়ে
কবিতারা ভারী কিপটের মতো ভিখ দেয় এই পাত্রে
ছন্দমিলের লুকোচুরি দেখে জ্বালা ধরে যায় গাত্রে
সকালবেলার ভালো লাগা লেখা দুচ্ছাই করি রাত্রে।


এবয়েসে এসে সন্দেহ লাগে সাধারন সব ব্যাপারে
প্রেমের রঙ্গে ভুরু বিভঙ্গে ভাবি কোথাকার খ্যাপা রে।
সাদামাটা চোখে দেখবো কি করে চশমাতে কালি লেপা রে
প্রেমেরও ভারী বয়ে গেছে নিতে এমন লোকের হ্যাপা রে।


সুতরাং প্রেম ফাঁকি দিয়ে যায় মাঝবয়েসের মগজে
খেয়ালী পোলাওয়ে গন্ধ থাকে না, খালি আঁকিবুকি কাগজে
বরং কুটিল রাজনীতিকথা এসে যায় ভারী সহজে
আদার ব্যাপারী ঘোর সংসারী বেখবর প্রেম জাহাজে।


প্রেমের কবিতা কি করে লিখতো সেই দাড়িওলা বৃদ্ধ?
প্রেমের খেলাতে রবি আওড়ানো বাঙালীর স্বতঃসিদ্ধ
আমি প্রেম নিয়ে লিখতে বসলে কলমে কাগজে যুদ্ধ
কোথায় মদন, করো না হে এসে পাঁচখানা শরে বিদ্ধ।


প্রেমের লেখাতে মক্সো করেছি,  লিখতে এখনো শিখিনি
ধরা যদি নাই দেয় সেই লেখা, করবো কি বলো দিকিনি!
তার ওপরে মাঝে নুনের ছিটেটি দিতে ভোলেননা গৃহিণী
সোজা বলে দেন অতীতেও বাপু প্রেমের আভাস দেখিনি।


আর্যতীর্থ