। খোল।

আষাঢ়মেঘের বিষণ্ণতা আজকে কেন রাইয়ের চোখে?
সুখরোদ্দুর ঢাকলো বুঝি বিষাদকথার রাংমোড়কে।
অধোবদন ফুলগুলি সব শর্তবিহীন সমর্থনে,
পরিস্থিতি কোনদিকে যায় দেখছে হাওয়া সঙ্গোপনে।

এসব সময় প্রশ্ন করার মানে বিপদ নিজে ডাকা
বুদ্ধিমানের কর্ম হলো বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকা।
তার ওপরে রাইকিশোরী থাকে যখন ফুলের সাথে
একটু হলেই এদিকওদিক ধমকে মাথা কাটে হাতে

ফুলগুলি সব মুষড়ে আছে, তাই কি রাণীর মন্দ মেজাজ?
বরাবরের ফাঁকি দেওয়া মালি বোধহয় আসেনি আজ।
খুরপি হাতে এ টব ও টব চাঁপার আঙুল চলতে দেখি
মেঘের কারণ জিগেস করে আগ বাড়িয়ে খুন হবো কি?

অবশেষে বিষাদচোখে রাই তাকালো আমার দিকে
এসব সময় মুখ ঝুলিয়ে থাকতে এখন গেছি শিখে
রাই বললো বৃষ্টি হবে, যাওনা সোনা একটু ছাতে,
গামলা একটা রাখা আছে কদিন ধরে খোল পচাতে।

গামলাখানা নামিয়ে এনো, রাখবো এখন বারান্দাটায়,
অনেক ভেবে ঠিক করেছি ফুল বাঁচানোর এটাই উপায়
খোলপচাটা কষ্ট করে একটু দিও গাছের গোড়ায়
কদিন বাদেই বার্ষিকীতে ঘর সাজাবো ফুলের তোড়ায়।

হা হতোস্মি! ফুলের কারণে আজকে আমার বরাত মন্দ!
সাবান বা সেন্ট কিছুতে  যায় না খোলের পিন্ডি পচা এ গন্ধ!
এদিকে আবার বারান্দা থেকে ক্রমাগত আসে সে চেনা সুবাস
রাইয়ের ভয়েতে চেপে আছি গুরু, তোমাদের কাছে শুধু হা হুতাশ।

আর্যতীর্থ