। দোস্তি।


কিছুটা সময় ল্যাদ খেয়ে থাকা, বাকি সময়টা মস্তি
যে যাই বলুক, কলেজজীবনে ছিলো একঘর দোস্তি।
ক্লাসে গেলে হতো টিচার ধন্য
ক্যান্টিনে মামা রূপ যে অন্য
পরীক্ষা এসে ঘাড় ধরে পড়া করাতো জবরদস্তি
সিগারেটধোঁয়া সারারাত জাগে, আর সাথে জাগে দোস্তি।


মোটা মোটা কত ভারী বই ছিলো, চোতাবই দিতো স্বস্তি
মেয়েদের থেকে ক্লাসনোট দিতো বিপত্তারণ দোস্তি।
পরীক্ষা হলে মুখ বড় ভার
উত্তর দিতে  অকুল পাথার
গুরুজনবাণী মরমে পশিতো ' বই খুলে যদি বসতি!'
চেপে যা না গুরু, সাপ্লি তো আছে, সাহস জোগাতো দোস্তি।


মাসের শেষেতে ফক্কা পকেট, দিল খুলে তবু হাসতি
এক কাটলেট তিনজন মিলে ভাগ করে খেতো দোস্তি।
কোনোদিন পাওয়া হঠাৎ সুযোগে
বোতলের ঘ্রাণ আজও নাকে লাগে
বাবার হাতে ধরা পড়ে গেলে বড় ঝামেলায় ফাঁসতি
গালাগালিগুলো হজম করাতো গেলাস এগিয়ে দোস্তি।


কলেজসময়ে জীবনের সাথে কত না ফস্টিনষ্টি
সাতটা রাজার মানিকের মতো পেয়েছি প্রাণের দোস্তি।
তারপরে গেছে সাল মাস দিন
বন্ধুতা আছে আজও অমলিন
আজও সাড়া দেয় বন্ধুর ডাকে হৃদয় মজ্জা অস্থি
বিন্দাস থাক, বুরি নজরের থেকে বেঁচে যাক দোস্তি।


আর্যতীর্থ