। সতীন।

পদ্য লেখার রোজ প্রয়াসে
এবার বুঝি পড়লো ভাঁটা
গিন্নি বলেন দাঁত খিঁচিয়ে
কবিতা তাঁর সতীন কাঁটা
আমতা করে বলতে গেলাম
মিল একটু আছে রাণী
দুজনেরই বুঝতে মেজাজ
হালে আমি পাই না পানি।
তোমার সামনে যেমন আমি
কি বলবো তা পাইনা বুঝে
কবিতাতেও ভাবনা এলে
কথা বেড়াই হাতড়ে খুঁজে।
শাড়ি যখন বাছাই করো
ঘাড় নেড়ে যাই বোকার মতো
ছন্দমিলের খোঁজ লাগিয়ে
তেমনই খাই থতমত।
তুমি যেমন পুজোর শাড়ি
কিংবা নেহাত নাইটি পরে
আগুন জ্বালাও আমার মনে
বিনিকথার আড়নজরে
তেমনি আমার কবিতারা
জমকালো বা সাদামাটায়
ওরাও জানো দক্ষ ভারী
মনের ঘুড়ির সুতো কাটায়।
তোমার মতো ওরাও আমার
চুপনজরে মন পড়ে নেয়
ঠিক যে আমার পাশেই আছে
বিনিকথায় বুঝিয়ে দেয়।
তুমি যেমন ঘরবার সব
সামাল দিয়ে যাও দুহাতে
তেমনি আমার মনের ঘরও
সামলিয়ে দেয় কবিতাতে।
এই কথাটা যেই বলেছি
গিন্নি গেলেন হঠাৎ রেগে
টেবিল থেকে ছিটকে গিয়ে
শোয়ার ঘরে গেলেন বেগে।
দরজা বন্ধ করার আগে
বুলেটমাফিক বাক্যি এলো
আজকে থেকে সোফায় শোয়ার
অভ্যেসটাও করে ফেলো।
তোমার মনের আঙিনাতে
আমি কি আর আছি টিকে
এর চাইতে ভালো ছিলো
লাগলে ভালো পরস্ত্রীকে।
তাকে নাহয় সামলে নিতাম
কড়া কথার ঝামটা ঝড়ে
আপদ তোমার কবিতাদের
সামাল দেবো কেমন করে?
আমি দেখি মন্দ গতিক
ঝড় আসবার সম্ভাবনা
একবারটি শুরু হলে
বাঁচার সুযোগ আর পাবোনা।
তুতিয়ে বলি কবিতারা
তোমায় ঘিরেই বাড়ে সোনা
তোমার কৃপা না হলে তো
কবিতাদের থই পাবোনা।
অনেক কষ্টে মান ভাঙালাম
সাত মণ তেল মেখে পায়ে
বউ বলেছে জেলে দেবে
দুইনম্বর বিয়ের দায়ে।

আর্যতীর্থ