। কবি অকবি।

কি হে কবি, পদ্য লিখছো নাকি?
বিষয় তো সেই ফুল চাঁদ প্রেম পাখি,
কোটি কথা বইলো গঙ্গা  দিয়ে,
কিছু কি আর আছে নাকি বাকি?

' আজ্ঞে আমি ছোটোখাটো লোক
তত্ত্বকথায় অতটা নেই ঝোঁক
একটু আধটু কথায় কথা বাঁধি,
সেসব পড়ে নিজেই গিলি ঢোঁক'

হায় ভগবান, তবে যে এই দেখি
সারাদিনে এত লেখালেখি,
ছন্দ মিলে ভরিয়ে ফেলো পাতা,
কবি সাজার ভান করে যাও সেকি?

' কবি যে নই , সেটা ভালোই জানি
তবু রোজই কথার জোয়াল টানি
কাব্য আমার আয়ত্ত্বে না আসুক,
আমি তো তার মালিকানা মানি'

পদ্য যদি না হয় একখানও,
তাহলে আর এত লেখো কেন?
লেখার নেশায় লিখে যেতে হবে,
সে যুক্তিটা কেমন কেমন যেন।

'এত লোকে গায় গুনগুন করে
কজনকে আর গাইয়ে বলে ধরে?
গানের আগুন বুকের ভেতর জ্বলে
সুর নাই বা থাকলো গলার স্বরে'

তার জন্য এত সময় নষ্ট?
না পাওয়াকে ধরতে যাবার কষ্ট?
কথার পিছে কেন বেড়াও ছুটে,
কারণ বাপু এখনো নয় স্পষ্ট।

'আসলে এই ব্যাপারটা কি জানো,
খুব মুশকিল অন্যকে বোঝানো
বেঁচে থাকার জন্যে লিখি ভায়া
প্রাণভোমরা পদ্যতে আটকানো।'

আর্যতীর্থ