।আয়না।

আয় না আমার আয়না করি তোকে।
যেমনটি ঠিক আছে আঁকা আমার ছবি তোর দুচোখে,
আসল মানুষ একটু ঘষেমেজে,
সেটাই হবো, এই আমিকে ভুলবো আমি আয়নামানুষ সেজে।
আমি যেমন, অবিকল কি তেমন দেখিস নাকি?
চেহারাতে নানান টুকিটাকি, বাদ দিয়েছিস জানি আমি খেয়ালখুশী মতো,
কপালজোড়া ছোট্টবেলার ঢিলের করা ক্ষত, গালের ব্রণের দাগ আর চিবুক খোঁচা দাড়ি,
তোর দুটো চোখ আয়না হলে এড়িয়ে যেতে পারি।
শরীরমনে ঘুণ ধরেছে, বয়েসকালের বাত,
আকাশ এখন নামতে নামতে মাথার ওপর ছাত,
অচেনাতে রোমাঞ্চ নয়, বরং জাগে ভীতি,
অভিজ্ঞ চোখ জরিপ করে নানান পরিস্থিতি,  ঠিক করে নেয় ঘরে থাকাই ভালো,
বদ্ধ ঘরেই তোফায় আছি,  বিশ্রী লাগে আলো।
এ সমস্তই ছাপ ফেলেছে মুখে অবয়বে,
দেখতে গেলেই বিরক্তি সব খাপ ছেড়ে বেরোবে।
সেই জন্যই এমনি আয়না দেখে, মুখ ঝুলে যায়, মন পুড়ে হয় কালো,
এখন বরং তোর দেখাটাই দেখি, সেটা তবু লাগতে পারে ভালো।
চলনা রে আজ তোর দু চোখে আমায় দেখতে যাবো,
এখনো সেই আগের আমি, একটু প্রেমিক, একটু খ্যাপা একটু প্রগলভ।
আয় এদিকে,  দুচোখে চোখ রাখি,
অন্য একটা আয়না আছে, সে ভরসাতেই থাকি।

আর্যতীর্থ