।পূব-পশ্চিম।


                      । পূর্ব।


ঝিম ধরা সিংহশাবক,
দুটো বিলুপ্তপ্রায় বানরের ছানা
কিভাবে তাদের ঘরে মানুষের কালো হাত দিয়েছিলো হানা,
সেটা অজানা।
চুপিচুপি আসে কালো অর্ডার,
চীন বার্মা’র ছিঁড়ে বর্ডার এসে গেছে ওরা ,
তোড়া তোড়া নোটে খোলে দুনিয়ায় সব পথ চোরা,
যে কোনো নিষেধ বেড়াজাল ভেঙে যা ইচ্ছে তাই করা
সহজে পাচার ,
মানবিক লোভরোগে পৃথিবী বড্ড ভোগে,
সাক্ষী সিংহছানা বন্ধ খাঁচার।
ভাগ্যিস কিছু লোকে, এখনো এসব রোখে,
চোর ধরা পড়ে গেছে সেই কড়া চোখে,
জানিনা অন্য ফাঁকে
আরও কত পশুপাখি মা’র কোল খালি করে পিঞ্জরে ঢোকে।


আরে না না, এসব করলে জেলখানা যাওয়া নয় এই দেশে।
তিন কারবারী জামিনের পরে থানা থেকে তাই বেরিয়ে গিয়েছে হেসে..


                          ।পশ্চিম।


এক যে ছিলো ফেরিওয়ালা, রেলকামরায় খেলনা বেচে পেট চালাতো।
তেমন চালু ব্যবসা না তো, অভাব রোজই হুমকি দিয়ে খুব জ্বালাতো।
গতানুগতিকে অনোন্যপায়,
অভিনব এক পথ ঠাওরায়,
রেলকামরায় বসায় গলায় রাজনীতিকের বলা,
খদ্দের এতে খুব মজা পায়,
ভিডিও তুলতে ভিড় জমে যায়,
মুফতেই বেশ মাইলেজ পায় রাজনীতি-হরবোলা।
কিন্তু রসিক নয় যে শাসক ,
ভিডিওতে সেই বকবক দেখে লালচোখে বার করে দাঁত নখ, বলে ব্যাটা এত বড় ঠ্যাঁটা,
জনতার মাঝে করে যাস হ্যাটা, গারদেতে ঢোক।


আরে না না, এসব লোককে ছাড়ান দেওয়ার প্রশ্নই নেই দেশে,
যাবজ্জীবন পাওয়ার তাবত ধারাগুলো মর্জিমফিক পুলিশ দিলো ঠেসে..


আর্যতীর্থ