। রোগভোগ।


রাজার রক্তে বেজায় চিনি
কাজেই হলো কলঙ্কিনী
আখের ক্ষেত আর রাজ্য জুড়ে তাবত মেঠাই।
মিষ্টি খাওয়া থামাতে তাই আইন হলো,
মিষ্টি খেলে ইয়াব্বড় ফাইন হলো,
আখের চাষী থরহরি, বিষ খেলো বা গলায় দড়ি,
বাকি সবাই ফলায় ফসল স্বাদহীন বা তেতো,
আহা রাজা যেন চিনি না খান, প্রজারই দায় সে তো।


মহারাণীর প্রবল রক্তচাপ,
সেই কারণেই মস্ত বড় পাপ
খাদ্যে লবন, এবং নোনতা আর যা কিছু আছে।
নুন ছাড়া তো কত লোকেই বাঁচে,
তাই তো হলো ডিক্রী,
দোকানগুলোয় এখন থেকে নুন হবেনা বিক্রি।
থাকুক যত আয়োডিনই, খেতে হবে সব আলুনি,
নিষেধ হলো সব প্রজাদের সাগরপারে যাওয়া
রাণীর জন্য কেউ খাবে না রাজ্যে লোনা হাওয়া।


রাজকুমারটি আদতে রঙকানা,
তাই হয়েছে মানা
রঙীন পোশাক পরা এবং রঙীন ফুলের গাছ,
রাধাচূড়া অশোক পলাশ করেনি কেউ আঁচ
তাদের শিকড় উপড়ে যাবে হঠাৎ এমন করে,
হুকুম এখন, ভাবনা যেন সাদা কালোয় ঘোরে।
রামধনু বেগতিকে, কে দেখবে তার দিকে,
প্রজারা সব  দাবার ছকের মতন নিখাদ সাদা এবং কালো,
যাই ঘটে যাক,  হতেই হবে রাজকুমারের ভালো।


দুয়েকজনা প্রজার মনে  উথলে ওঠে ভয়,
অবস্থা ঠিক কেমন হবে তখন কি জল নিষেধ তবে,
রাজপ্রাসাদে কারোর যদি জলাতঙ্ক হয়?


রাজার রোগে প্রজারই ভোগ, রাজার কিছু নয়।


আর্যতীর্থ