। স্বাস্থ্য।


ভারত ভাগ্যবিধাতারা অসুস্থ হলে তার নিদান-বিধান করা ভারতের ভাগ্যতে নেই।
তাঁরা উড়ে যান সুদূর বিদেশে,  সপ্তাহ বা মাস কাটিয়ে
পুনঃ ফেরেন মাতৃভূমিতে,
সুস্থতার বিনিময়ে টাকা নয়, ডলার বড় হয়।


বাকি যারা মেজো সেজো, এমনকি ভীষণ কনিষ্ঠ সদ্যোজাত নেতাটিও,
পাঁচতারা আরামের সুবিধাযুক্ত কোনো চিকিৎসা-প্রাসাদে রোগমুক্তি ঘটান।
সেখানে অলিন্দে ওয়াই ফাই,
গবাক্ষ দিয়ে চাইলে বহু নিচুতে থাকা দেশ লিলিপুটের মতো দেখা যায়।


তারপর একদিন, সকলে সুস্থদেহে যথোচিত সজ্জিত হয়ে রাজসভা আলো করে আলোচনায় বসেন।
প্রতিরক্ষা বলেন স্বাস্থ্যকে
‘ নেই-যুদ্ধদের জন্য ক’টা কামান কিনবো, আপনার ভাগে কিছু কম হলে আশা করি আপত্তি নেই।’
বিজ্ঞান বলে ওঠেন
‘ চাঁদে যাওয়া কিন্তু প্রতি ডায়রিয়া শিশু ও আর এস পাওয়ার থেকে বেশি প্রয়োজন’।
কৃষি ও শিল্প কিছু বলেননা, বহুদিন ধরে তাঁরা নিজেই ভিখারী।
আর স্বাস্থ্য, নিরুপায় কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মতন, তাবত দাবীগুলো মেনে নেন মুখ নিচু করে।


কাড়া ও নাকাড়া বেজে ওঠে, দিকে দিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষিত হয়।


জনতার হাসপাতালে জনপ্রতিনিধিরা যাবেননা কেন, গণতন্ত্রে সে প্রশ্ন করা ঠিক নয়..


আর্যতীর্থ