।সেতু।

যতটুকু আমি তুইময় হই, তুই তো মোটেই নোস তা,
সাধ করে আজ যে পুল বানাই, কাল হতে পারে পোস্তা।
ভেঙে যেতে পারে হুড়মুড় করে,
( যেমন আশারা রোজ ভেঙে পড়ে)
তদন্ত হলে স্থপতির ঘাড়ে চলে যাবে সব দোষটা।

অথচ তোরও ভাগে কিছু ছিলো দেখানোর কর্তব্য,
সেতুর কোথায় কংক্রিট দিয়ে আরেকটু মোটা করবো
রোজ ভাবি তুই এসে দিবি গালি
‘ এখানটা কেন এমন বানালি!’
আমি সেই মতো প্ল্যান বদলিয়ে মজবুত সেতু গড়বো।

খুব একটা কিছু লাগে না এখন অভ্যাসী ব্রীজ ভাঙা-তে,
চোখের সামনে ভেঙে পড়ে গেলো সেদিন উল্টোডাঙাতে।
যাতায়াত পথে পড়ে নি নজরে
কখন হয়েছে সেতু নড়বড়ে
আমরা তখন হয়তো ব্যস্ত ঘড়িটাকে চোখ রাঙাতে।

আমার জগৎ তুইময় তাই ব্রীজটা বানাই যত্নেই,
তোর কাছে যেতে বস্তুত এই সেতু ছাড়া কোনো পথ নেই।
কিছু খুঁত তবু ঠিক যায় রয়ে
ধকল সে যাবে কদ্দিন সয়ে
জানিসই তো তুই সেতু রক্ষণে সেরকম বাঁধা গত নেই।

তোর সাড়া পেলে তবেই এগোবো আপাতত গেছি আটকে
সেতুবন্ধনে পুড়িয়ে ফেলেছি বিস্তর খড় কাঠকে।
তুই যদি এসে ভাগ করে নিস,
রোজ দেখে যাবি আশ্বাস দিস,
তবে হাত দেবো, খামোখা বানাতে চাই না মাঝেরহাটকে।

আর্যতীর্থ