।শীতে বসন্ত’র খোঁজ।


ছুটছো ছোটো, ছুটতে থাকো , সমকালের এই দাবী,
মানুষ আগে আড্ডা দিতো কিভাবে তা আজ ভাবি।
নিচু মাথায় জোয়াল কাঁধে পেটের দায়ে ছুটছি রোজ
ভার্চুয়ালেই বন্ধু করি , ব্লক আনব্লক খুব সহজ।


স্কুলকলেজের হইহুল্লোড়, ঝগড়া বিবাদ খুনসুটি,
ওসব ভুলে খুঁজছি সবাই, ঝোলাগুড় আর পাঁউরুটি।
‘ কিন্তু সবার চাইতে ভালো’ সেটাই এখন জীবনবোধ,
ফাঁদ পেতেছে স্বখাত সলিল, রুটিন বলে গর্ত খোদ।


শুধুই কি স্কুল কলেজ নাকি, পাড়ায় ছিলো ঠেকরোয়াক
(খুন করেছে এখন যাকে গলির ধারে ফ্ল্যাটের ঝাঁক।)
রাজা উজির মারতে থাকা বিশ্ব নিয়ে তর্কতে,
বিকেলগুলো দেখতো রোজের চায়ের কাপে ঝড় হতে।


রাক্ষুসী এক হাঁ করে মুখ, গিলছে বসে দিন গুলো,
সংসার যার পোশাকি নাম, মতান্তরে চালচুলো।
বাজারছ্যাঁকায় ভ্যাবাচেকা, স্কুলের ফি’জে চিৎপটাং
বসন্তহীন পঞ্জী লিখি, ভাগ্যে নামে শীত সটান।


রুটিন ঘেঁটে হচ্ছে মনে , দিন কেটে যায় অর্থহীন,
ক্ষইছে ক্রমেই আয়ুর ভাঁড়ার, স্মৃতি হতে আর কদিন!
মনে কি কেউ রাখবে তখন, আমার কাজের জায়গাতে,
খোঁজ লাগাবে আরেক লোকের, কাজ না থেমে যায় যাতে।


থমকে যখন মন ঘুরিয়ে, কলেজ স্কুলে চাই ফিরে,
মিষ্টি বলা খিস্তিগুলো, মিস করি খুব এই ভিড়ে।
ভার্চুয়ালের হাত ধরে আজ, খুঁজতে চাইছি অতীতকে,
সামাল দেবো বন্ধু দিয়ে , ফাটল ধরা এ ভিতকে।


বন্ধু মানেই বসন্তকাল, থোড়াই কেয়ার হে শীতকে।


আর্যতীর্থ