। শ্বশুর।


ভাবো দেখি, ষষ্ঠীটা একটু বদলালেই,
যষ্টি কেমন চলে আসে এই হাতে!
জামাই , একটু ঠিক করে নাও বাবা,
পড়বে পিঠে, নাকি তোমার পাতে।


সে এককালে চালু ছিলো বটে,
মেয়েরা ছিলো পরের বাড়ির ধন,
সারাবছর মেয়ের ভালো চেয়ে,
ষষ্ঠীতে তাই আদর আপ্যায়ন।


সত্যি বলতে , তখন বাবাজীবন,
মেয়েরা কি আর আসতো বাপের বাড়ি,
পুজো কিংবা অনুষ্ঠানেই আসা,
ফিরতে হতো তাতেও তাড়াতাড়ি।


এখন সেসব চুকেবুকে গেছে,
ফোন করে নিই যখন খুশী খোঁজ,
ঝগড়া এবং ভাবের ইতিকথা,
ওর মা জানে হোয়াটসঅ্যাপে রোজ।


গুরুতর তেমন কিছু হলে,
আমার কাছেও খবর  উপচে আসে ,
নাক গলাই না সেটা অন্য কথা,
তাই বলে কি মুখ গুঁজেছি ঘাসে?


শাশুড়িকে সামলে রাখি তোমার,
শত হলেও, এর নাম সংসার,
ঘটিবাটির লাগলে ঠোকাঠুকি,
নিজে নিজেই সামলানো দরকার।


এমন তো নয় ঝগড়াটুকুই জানি,
কানে আসে ভাবের খবরটাও,
শাশুড়ি মা আছেন তো ফেসবুকে,
দেখি কত যুগল ছবি দাও।


একেকটা দিন তোমার ওপর চটি,
আরেকটা দিন বেজায় ভালো লাগে,
ছাপ ফেলে যায় দিনযাপনের খাতায়,
কোথাও সরু, কোথাও মোটা দাগে।


বলতে পারো, বদলেছে তো সবই,
এটাও আবার বাকি থাকে কেন,
জিনিসপাতির উর্ধ্বমুখী দামে,
জামাইষষ্ঠী কেমন কেমন যেন।


ঠিক ধরেছো ওহে বাবাজীবন,
বাজার গিয়ে পকেট পুড়ে ছাই,
তবুও ওই দুগগাপুজোর মতোই,
আমার কিন্তু জামাইষষ্ঠী চাই।


জষ্টিমাসে বাজার জুড়ে আম,
লিচুও আমার মেয়ের যে বড় প্রিয়,
আমার মেয়েটা খাচ্ছে কি ওখানে,
না জানলে খাই কিকরে আমিও?


অনুষ্ঠানটা উপলক্ষ্য শুধু,
কে আর জানে ভালো আমার চেয়ে,
আসল কথা, তোমার সাথে এসে,
বাবা মায়ের আদর খাবে মেয়ে।


আর্যতীর্থ