।তকমা।


ক্যালেন্ডারের কোথায় লাগে
চন্দ্রবিন্দু নামের আগে,
কোন তারিখের পরে হঠাৎ
কিস্তিমাতের খবর পাবো,
তা জানিনা।
পরস্পরের হাত ধরিনা তবুও আজ,  
অন্ধ মনে জমাই শুধু অচল ঘৃণা,
ধর্ম মেনে, বর্ণ ছেনে,
ব্রেনের ভেতর খুপরি বানাই,
আমার মতো না যদি কেউ
বিরুদ্ধে তার অস্ত্র শানাই,
কোনটুকু পাই সে হিংস্রতায়,
সেসব ভাবার সময় কোথায়,
মানুষ তো নই আমরা মোটে,
তকমা জোটে নাম পদবীর,
সেটার ভিতে উঠবে প্রাচীর,
দেশের কি নাম, আল্লাহ না রাম,
পৈতে না মল বইতে হতো পূর্বজকে,
জোঁকের মতো শুষবে সেসব
মানুষ আমি সে তথ্যকে,
লেপটে যাবে জাতপরিচয়
জন্ম হলেই সবার গায়ে,
ধর্ম ভাষা দেশের বেড়ি জুটবে পায়ে,
যেসব কেটে , সে সব ছেঁটে,
শুধুই আমি মানুষ ভাবা অসম্ভবই।
কাউকে দেখেই অমনি ভাবি,
কোন দেশীয়, ধর্ম বা কি,
আমার সাথে মিলবে নাকি,
মিললে পরে দোস্তি হবে,
প্রাণের ভেতর স্বস্তি হবে,
কিন্তু যদি অমিল পেলাম,
আমার প্রণাম ও তার সেলাম,
খোদা বনাম যিশু বা রাম,
পোশাক ভাষায় তফাত প্রবল,
অমনি মনে ছোবল মারে সন্দেহরা,
নির্ঘাত এ পিঠপিছনে মারবে ছোরা
সুযোগ পেলেই।
সমস্যা এই , ও লোকটিও আমায় দেখে,
অভিজ্ঞতায় মগজ সেঁকে,
গল্পগুলো ভাবছে একই।
আমরা কি আর মানুষ দেখি,
ঘোড়ার ঠুলি চক্ষে পরা,
বক্ষে রাখি বিষের ঘড়া,
ভিন্নতাতে অস্ত্র হাতে মারতে ওঠাই নিয়ম এখন,
এসব কিছু করার মাঝে,
ঘড়ি বয়ে যায় অকাজে,
বর্তমানের কার্যকলাপ দুম করে হয় অতীতকাহন।


ক্যালেন্ডারের শেষপাতাটা ফুরাবে কি এটাই লিখে,
মানুষকে না মেনে শুধু দিন গিয়েছে তকমা শিখে?


একটা আয়ু যাবে বয়ে ব্যর্থ হয়ে সেই তারিখে..


আর্যতীর্থ