তার মাস্কারা কিংবা ফেয়ার অ্যাণ্ড লাভলির প্রয়োজন পড়েনা।
বিদেশি গন্ধও মাখতে হয়না আদিগন্ত দেহে-
তবু অসীম আকাশ নির্নিমিখ দৃষ্টিতে চেয়ে রয়,
সন্ধ্যা তারারা তার বুক চিরে স্নান সেরে
পরিপাটি করে চুল বাঁধে হিজল ছায়ায়।
তার হার্দিক বিশালতায়
অন্ন জোটে ভুবনমাঝি,শিবুকাকার মুখে।
আবরণই তার আভরণের ঋতভাষ্য,
তাই অস্তবেলার রামধনু রং ছুঁয়ে গেলে,
প্রত্যাশী মেঘ গায়ে ধেয়ে এলে,
মুচকি হেসে শনবিল-ই হয় ষোড়শী অনন্যা।


কালীকীর্তনের সুর যখন নূপুর বাঁধে তার আলতো পায়ে,
তখন স্রোত-বিভঙ্গে পাথরের বুকে রসের ধারা বয়।


মাতাল বর্ষা বুক ভাসিয়ে দিলে
প্রতিঘাতে সে মেঘকে ফোঁসে দারুণ তীব্রতায়।
কূল ভেঙে দিয়ে অনন্যা নেয় শ্মশানকলীর রূপ,
স্বপনজেলের স্বপ্নেরা সব বাস্তুহারা হয়,
মাঝিকয়েক নাও বেয়ে যায় মুক্তোর সন্ধানে।


শহর যখন তার মোহনায় সেলফি-মুখর হয়,
সময় তখন অবাধ্য স্রোতে মিশে!
নাছোড় রোমান্স পিয়াসি বুকে
অপলকে চেয়ে শনবিল দেখে
অনাবিল মুগ্ধতায়।