একটি চিঠির কয়েকটি শব্দের সেই অনুরণন-
সারাজীবন অসাধারন হয়ে থাকার চেষ্টা কেন?


ভেবেও পাইনি খুজে থই,
বলেও পারিনি বলতে তারে-
ভাবনার দ্বার খুলে অপেক্ষায় আমি,
শুধু যদি একবার সাড়া দাও মোরে|


অতি সাধারন আমি মনের গহনে,
ছিলে তুমি চিরকাল লুকিয়ে অন্তরে,
বিধাতা কেন যে ভুলেছে অঙ্ক
মেলাতে যে পারেনি তোমারে আমারে|


সেদিন আকাশে যখন জমেছিল মেঘ,
মৌসুমী হাওয়ায় ছিল ভেজা গন্ধ-
মন খালি পাখা মেলে গিয়েছিল উড়ে
জেনেও যে তোমার দ্বার আজ ও বন্ধ|


মেঘের হাতে পাঠিয়ে বারতা
অপেক্ষায় ছিল সেই বিভোর বালক,
সুর্যের হাসি এসে যেই ছুয়ে গেল তারে
কিছুতেই পরে না যে চোখের পলক|


পশ্চিমের হাওয়া এসে বলে যায় তারে
এখনো সে ভুলিতে পারেনি তোমারে,
পুবের হাওয়ায় মিশিয়ে মিষ্টি নেশা
ফেরত পাঠায়ে দিল যে একমুঠো আশা|


ফিরে ফিরে আসে শুধু স্মৃতিগুলো আজ
সযত্নে সাজায়ে যারে রেখেছি অন্তরে,
স্বপ্নের মাঝে ছিল শুধু তার নাম
কখনো কি ভেবেছি যে ফিরে পাব তারে?


সেই নাম সেই ভাব সেই অনুরাগ
কখনো বা হাসি আর কখনো বা রাগ,
বহু বছরের ঋণভার বয়ে আমি আজ
পারব না করতে যে তারে আমি ভাগ|


ফিরে এস আজ লুটায়ে দিব যে সব
শেষ থেকে শুরু হোক নতুন সে গাঁথা,
দিন রাত পাশে বসে কয়ে যাব কথা
আদরে হাসিতে আজ মেটাবো সে ব্যাথা|