আমার বনলতা ফিরিয়ে দিয়েছে আমার দিন রাত-
বরষার সেই সন্ধ্যে কেমনে ভুলিগো তারে?
ফিরে এল উত্তাল করে রক্তস্রোত -
মনে পরে বিনুনী দোলান আমার সেই
মানসীর আয়ত চোখের মিষ্টি হাসি,
আজ শুধু কন্ঠের সেই জাদুমাখা ধ্বনি
শুনি আমি বহুযুগ বাদে-
কেন যেন কেঁপে ওঠে ঠোঁট
দিতে তারে শুধু শব্দের ছোঁয়া|


আজ শুধু কাঁটে অপেক্ষার পল
কখন যে বেজে ওঠে সেই ধ্বনি
ভেসে আসে সেই প্রিয় স্বরখানি-
আদরের ছোঁয়া লাগা চোখদুটো যেন
স্বপ্নের দেশে নিয়ে যায় মোরে |


হায় রে বিধাতা , গল্পের শেষ যে লেখনি তুমি-
এ জীবনে ফিরিয়ে দিলে যদি
আমার সেই মুহুর্তগুলো,
যাহারে হারিয়েছি আমি ,
পারিনি ফেরাতে মুখ পরিজন হতে,
শুধু হারিয়েছি সেই বনলতা মোর,
রেখেছি ফিরায়ে মুখ হৃদয়বিপরীতে,
বহু যতনে যে তারে আজো সাজায়ে রেখেছি অন্তরে|


আজ ও খুজে ফিরি সেই ষোড়শীরে,
লালপাড় সাদা শাড়ী , আঁচল উড়ায়ে যেন
পাখা মেলে ভেসে এল উদ্দাম ষোড়োশের পানে,
উত্তাল বৈশাখী মন কেন যে নেয়নি উড়ায়ে তারে,
আজও যে পাইনি উত্তর তার,
সমুদ্র ধারে যেন দু হাত ছড়িয়ে আজ
অপেক্ষায় আমি যদি ফিরে পাই বনলতা মোর|


সোচ্চার হল নির্বাক হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রী,
শুধু ফিরে ফিরে আসে সেই মুখ সেই হাসি,
বলে ফেলে তারে মুক্তির নিঃশ্বাসে হেসে উঠি আমি,
লুকায়ে রেখেছি যারে বহুযুগ ধরে
শুধু জানেন অন্তর্যামী|
বনলতা তুমি ছিলে ত আমারই চিরকাল-
চলে এস ফিরে, লিখে ফেলি গল্পের শেষপাতাগুলো
যেখানে এসেছি ছেড়ে আমাদের সেই জীবনের
পলগগুলো সব ,শেষ থেকে শুরু করে ফেলি আজ|
হাত রেখে হাতে , পেতে মাথা বুকে
শুধু দাও মোরে শুষে নিতে সব উত্তাপ,
ছিড়ে ফেলে বন্ধনরশি,ভেসে যাই চলে
দুর হতে দুরে ,পারবে না যেথা পৌছতে
কোন দীর্ঘশ্বাস, শুধু আনন্দের কলধ্বনি
ভরাবে আমাদের এই জীবনের ঘড়াখানি