সুচরিতাষু,
বসে ছিলাম একটা চিঠির আশায়-
হয়তো বা লিখে পাঠাবি তোর মনের কথা,
হয়তো বা তুই খুলবি, না খোলা হৃদয়ের প্রতিটি পাতা,
হয়তো বা চিঠির খোলা পাতায় ভেসে উঠবে আমার না বলতে পারা-
সেই সহজ কথাটি...... আমি যে তোকে ভালবেসে ফেলেছি|
কিন্তু জানিস বিধাতার গল্পটা লেখা ছিল অন্য পটভুমিকায়,
যেখানে ছিল না একসাথে দুজনের জীবনের গল্পের কোন স্থান-
অথচ দেখ মেনে নেয়নি তো মনের সেই একটি জায়গা,
যেখানে সেভাবেই লিখে রাখা ছিল সযত্নে নিঃশব্দে শুধু সেই নাম|
সেই গল্পের সন্ধ্যাগুলো পার হয়ে যেত মুহুর্তে,
ঠিক তার পরেই মনে হোত- কেন আজ ও পারিনি বলতে তোকে ,
না বলা সেই একটি কথা|
চিঠির আশায় দিন গুনে
সপ্তাহের শেষে এসে পৌছন চিঠি নিয়ে চলে যেতাম গঙ্গার ধারে,
প্রতিটি লাইনে পেতাম স্পর্শের গন্ধ,
ভাষার অরণ্যে হারিয়ে যেতাম ,
পেতাম না খুজে না পাঠান চিঠির সেই একটি লাইন|
কিভাবে এভাবে জুগিয়ে ওঠাতে পারিনি সাহসের ভান্ডার-
সমাজ পরিজনের বাধা পেরিয়ে পৌছতে পারিনি
আমার ভীষণ করে চাওয়া সেই কথাটি তোর কাছে|
বিধাতা যে এভাবেই লিখেছিল আমাদের কাহিনী,
প্রতিটি লাইনে ছিল বিচ্ছেদের সুর ,
কিন্তু জানিস কি , স্তরে স্তরে জমে ওঠা পলি,
শুধু চাপা পড়ে ছিল তোর সেই ছবি হৃদয়ের অলিন্দে
প্রতিটি শব্দ গন্ধ শুধু নিজের আকার নিয়ে|
আজ ও যেন বুকের কাঁপন নিয়ে প্রতীক্ষায় আছি
কখন পৌছবে তোর সেই ডাকে না ফেলা চিঠি|
আজ ও সন্ধ্যের আকাশের সুর্যাস্তের রং
শুধু মনে পড়ায় সেই-  ফেলে আসা দিনগুলোর প্রতীক্ষার মুহুর্তগুলো,
আমরা দুজনে তাকিয়ে সেদিকে শুধু ভেবে যাব দুজনেরে|