হয়তো ছিলাম সেদিন অচেনা এক মানুষ
ছায়াঘেরা একাকী এক পাথর মনের ঘোড়সওয়ারী,
তাইতো লক্ষণের গন্ডী পেরিয়ে কাছে এসে দেখনি চেয়ে-
কোথায় লুকনো ছিল চোরাস্রোতা সেই ফল্গুধারা?
শুধু অভিমানে তুমি দুর থেকে চেয়ে থেকে-
ভেবেছিলে নিজ মনে - থাক তুই নিজের জগতে মজে,
আমি বেছে নেব আমার জীবনের রূপ রস গন্ধের আভিসারী,
বলেছিলে অন্তরে তুমি- উপেক্ষারে শতধিক|
হায় অন্তর্যামি , বিধাতার লেখনীর শক্তির জোরে
অন্তরের ধারা পায়নি গো সে রূপ ,
বোঝনিগো তুমি, কি নিঃশব্দ সে ক্রন্দন ধ্বনি-
দ্বন্দের ভারে জীর্ণ সে ছায়া,পারেনি ছিড়িতে সেদিন সমাজের বন্ধন,
ছুটে এসে ছিনিয়ে নেয়নি যা ছিল তার একান্তই আপন|
হতাশার রূপ নিয়েছে বেহিসেবি পথ্চলা,
আপনাতে পারেনি কাহারেও আপন চলার পথে,
একাকী গায়কের গান শুনায়ে নিজেরে শুধু বয়ে গেছে চলে,
জড়ায়ে নিজেরে মায়াজালে দিয়েছে পাড় সময় সমুদ্র|
সায়াহ্নে যখন খুজে পেল সে পাথর মুর্তি নিজের প্রাণের স্পন্দন,
শুধু ভেসে গেল আপ্লুত হয়ে , ফিরে পাওয়া আনন্দ অশ্রুতে,
প্রতিটি হাসির পল, প্রতিটি শব্দের সেই ইতিহাস
পেয়েছে নতুন রূপের সন্ধান -
পাথর গলেছে নিয়ে মনুষ্যের রূপ,
আরো কাছে পেতে চাওয়া সেই আকুলতা
শতসহস্রগুনে বেড়ে আজ নিয়েছে সমুদ্রের রূপ,
ভাসায়ে নিতে চায় তোমারে নিজের ঢেউয়ের তালে,
শুধু নির্বাক প্রাণ আজ গলা ছেড়ে উল্লাসে ভেসে
বলে ওঠে না বলা সে কথা- আমি যে তোমারেই ভালবেসেছি|