উত্তরায়নের পথে সুর্য তখন মধ্য গগনে হাসছে নিজের মনে,
ক্লান্তির পথে আমি হয়েছি ভাবনা চিন্তা হীন কলেবর,
মাথার ভেতর ঘোরে শুধু কপালের ওপর খান কতক উড়ে পরা চুলের
একটি উজ্জ্বল মুখের প্রতিচ্ছবি , যার আয়ত চোখের গভীরতা
মনে পড়ায় সাগর দীঘির জলের গভীরতা|
ওকেও যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছিল সেই ছবিটায়,
ক্লান্তির ও রূপ আছে নিজস্ব,আন্তরিক অথচ প্রানবন্ত-
সে , আমি ও একটি আবর্ত,
শৈশব, কৈশোর, যৌবন, ক্লান্তি, পথচলা,
না পাওয়া,হতাশা,ফিরে পাওয়া, আনন্দ,
স্বপ্ন, বাস্তব, কথা, হাসি, রাগ,অনুরাগ|
আমি ছিলাম, সে ও ছিল,
একান্ত আপন, গোপনে, অন্তরালে ,
পৃথীবির মানুষের অগোচরে,হেথায়,হোথায়,আমার নিজের দুনিয়ায়|
আমার শৈশবের সঙ্গ, যৌবনের স্মৃতি,
না পাওয়া স্বপ্ন,অন্তরের দুর্লভ রত্ন,
এখানে ওখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকা ভালোলাগা,
আনন্দের পল, প্রেরণার উত্স|
আমি ছিলাম , সে ও ছিল,
সকালে, সন্ধ্যায়, পুর্ণ চন্দ্রালোকের নমনীয়তায়,
পাহারচুড়োর নিস্তব্ধতায়, সাগরের শব্দোচ্ছাসে,
শহরের জনারণ্যে, আমার রক্তের প্রতিটি কলরোলে|
আমি খুজে ফিরি আমার আমিকে শুধু সেই ক্লান্ত দুটি
উজ্জ্বল চোখের ঐ দুটি ঝক্ঝকে তারার মাঝে|