রাতজাগা পাখীটা নিস্তব্ধতা কে উপহাস করে ডেকে চলেছে,
শীতের কুয়াশা ভরা পুর্ণিমার ম্লান আলো পুর্ণবয়সকা রাতের ভার বয়ে চলেছে-
আমার দুচোখের পাতা ঘুমকে দিয়েছে ছুটি-
শুধু সেই পানপাতা মুখের ওপর ভেসে ওঠা
ভীষণ সুন্দর দুটি চোখ,
শিশির বিন্দুর ছোয়া কপালের ওপর-
দু গোছা চুলের এলিয়ে পরা এক টুকরো সৌন্দর্য দুধারে,
সে ,আমার স্বপ্ন ,আমি- আবর্তিত হয়ে চলেছে।
বার বার ফিরে আসে সেই হাসি সেই মুখ,
আমার মন বন্য হয়ে যায়-
আমার ভেতরে ক্লোরোফিলের সঞ্চার আমি বোধ করি,
আমি একটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করা গাছের মতো-
জড়িয়ে ধরেছি আমার প্রিয়ার সেই মুখ আমার শাখা প্রশাখায়,
কখন সেই শব্দ গুলো সুর হয়ে ঝরে পড়ে আমার সারা শরীরে,
আমার রক্তস্রোতের সাথে মিশে যায় তাঁরশ্বাস প্রশ্বাসের প্রতিটি অণুবিন্দু,
আমার প্রতিটি রোমকুপ যেন অক্সিজেন টেনে নেয়-
আমার মন বন্য হয়ে যায়।
দেহের উত্তাপে ভেসে চলে যাই গহীন গহন মননে,
বন্য লতার মত আঘ্রাণে আপ্লুত শুধু বিচরণ করি ,
আবিসকারের নেশায়, আনাচে কানাচে খুঁজে ফিরি
স্রোতস্বিনীর উষ্ণ ধারা- আমার প্রিয়ার প্রতিটি শ্বেদবিন্দু।
স্মৃতি, বর্তমান, ভবিষ্যতের সব ভাব্না মিলেমিশে একাকার এবং
সে, আমার স্বপ্ন ,আমি- আবর্তিত হয়ে চলেছে।