এক্গুচ্ছো ভাললাগাকে সরিয়ে দিয়েছিলাম বুকে পাথর বেঁধে,
সমাজ, পরিজন, সজন অক্টোপাশের মতো রেখেছিল বেঁধে-
শহীদ হলো আমার আমি, আমার ভালোলাগা,আমার জীয়ন কাঠি-
তালাবন্ধ করে দিলাম- আমার আমিকে ছুটি,
নিজের সাথে লুকোচুরী খেলতে খেলতে হঠাত একদিন-
হাতের কাছে খুজে পেলাম খেলনাটা,
কোন এক নিঃশব্দ রাতের ঝিঁঝি পোকার ডাকের সুরে সুর মিলিয়ে,
কোন এক নির্জন পাহাড়ের ইউক্যালিপ্টাস বনে
ঝিরঝিরে হাওয়ার শব্দের মাঝে ,
অশান্ত সমুদ্রের অলস বেলাভুমিতে আধশোয়া হয়ে,
তালা খুলে খোলা হাওয়ায় ছড়িয়ে দিতাম আমার আমিটাকে,
খুজে পেতাম সেই হাসির একটি টুকরো,
সেই বুককাঁপা অপেক্ষার কয়েকটি পল,
হঠাত কখন যেন সাগর পাড়ের ধুলো উড়িয়ে,
দমকা বাতাসের ঢেউ ঝাপ বন্ধ করে দিত আমার দরজা,
আমার আমি কে আবার হতে হত বন্দী।
সং সেজে অভিনয়ের পালা হল না শেষ,
কিন্তু হঠাত বন্দী আমি বিদ্রোহ করে উঠে বসে-
পেয়েছে ফিরে সে জীয়ন কাঠির ছোয়া,
কল্লোলিনী খরস্রোতা তিস্তা ভেসে গেল তার তীর নিয়ে-
কবিতার শব্দগুলো ভরে নিল বারুদ নিঃশ্বাস-
আমার না পাওয়া আমিটা এখন চায় না যে থামতে আর,
সে এখন উড়ে যায় ইথার তরঙ্গের হাত ধরে সেই সেখানে-
সমাজ,পরিজন,সজনের বাধনের হাত হতে দুরে বহুদুরে,
যেখানে জমে আছে শুধু সে , আমি আর আমার আমি।