হঠাত সেদিন ভাংলো ঘুম বহুযুগ বাদে ,
   অপেক্ষার রং ফিকে হয়ে পুবাকাশে এলো সুর্যের লালিমা,
তোমার দিনের রং বদলেছে ,আমার চোখ খুলতেই দেখেছি-
ঠিক যেন আকাশচুম্বী অট্টালিকার বহুতলের বারান্দাতে দাড়িয়ে
হাতে হাত রেখে কৃষ্ণচুড়ার রঙ্গে মাতাল আমরা দুজনে,
তোমার মুখের প্রতিচ্ছবি আমার দেখা হতো শিশির বিন্দুর মাঝে,
শীতের সন্ধ্যেতে হঠাত ভেসে আসা গজলের সুরের মত স্নিগ্ধ -
তোমার সুর কথা হয়ে ভেসে আসে দুর হতে,
হঠাত যেন একসাথে হেসে উঠেছি কাছের আকাশে উড়ে যাওয়া
এরোপ্লেনের শব্দের বিরাম চিহ্নে,
আমার দিন রাত্রির  প্রতিটি মুহর্ত
একবুক আকাঙ্খা নিয়ে শুধু থাকে অপেক্ষার পল গোনায় বুঁদ হয়ে,
সমুদ্রের ঢেউ গুনতে গুনতে হেসে উঠেছি অকারণে-
দুজনেই হাতে হাত রেখে শুধু রয়েছি চেয়ে দুর অসীমের পানে,
রাতজাগা প্রতীক্ষার শেষে শুধু ভেসে ওঠা সেই দুটি চোখ-
একমুঠো হাসির মুক্ত ছড়ানো আমার বাগানে,
তোমার একলা আকাশ চাঁদ চিনেছে আমার হাসি দেখে,
আমার প্রথম কৈশোর চিনেছে আবেশের ছোঁয়া তোমার কন্ঠে,
এখনো অপেক্ষায় আমি শুধু সেই সময়ের একমুঠো নৈবেদ্যে।